পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ט\כי রবীন্দ্র-রচনাবলী সেটা আবার ভাঙানো নেই!” বিছু বললে, “এই ইস্টেশনেই ভাঙিয়ে নিলেই হবে ।” “আচ্ছা, দেব তবে” এই বলে সেই মেয়েটাকে আড়ালেতে নিয়ে গেলেম ডেকে, আচ্ছা করেই দিলেম তারে হেঁকে,— “কেমন তোমার নোকরি থাকে দেখব আমি ! প্যাসেঞ্জারকে ঠকিয়ে বেড়াও ! ঘোচাব নষ্টামি !” কেঁদে যখন পড়ল পায়ে ধরে দু-টাকা তার হাতে দিয়ে দিলেম বিদায় করে । জীবন-দেউল আঁধার করে নিবল হঠাং আলো । ফিরে এলেম দু-মাস যেই ফুরাল । বিলাসপুরে এবার যখন এলেম নামি, একলা আমি । শেষ নিমেষে নিয়ে আমার পায়ের ধূলি বিস্তু আমায় বলেছিল, “এ জীবনের যা-কিছু আর ভুলি শেষ দুটি মাস অনন্তকাল মাথায় রবে মম বৈকুণ্ঠেতে নারায়ণীর সি থের পরে নিত্য-সি দুর সম । এই দুটি মাস সুধায় দিলে ভরে বিদায় নিলেম সেই কথাটি স্মরণ করে ।” ওগো অস্তৰ্যামী, বিস্তরে আজ জানাতে চাই আমি সেই দু-মাসের অর্ঘ্যে আমার বিষম বাকি, পচিশ টাকার ফাকি । দিই যদি আজ রুক্মিনীরে লক্ষ টাকা তবুও তো ভরবে না সেই ফাকা ।