পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૩:૪ রবীন্দ্র-রচনাবলী সোমপাল। পরিহাস নয় ঠাকুর । বিজয়াদিত্যের প্রতাপ আমার অসঙ্ক বোধ হয়, আমি তার সামন্ত হয়ে থাকতে পারব না । , সন্ন্যাসী। রাজন, তবে সত্য কথা বলি, আমার পক্ষেও সে-ব্যক্তি অসহ হয়ে উঠেছে। { সোমপাল । বল কী ঠাকুর । সন্ন্যাসী । এক বর্ণও মিথ্যা বলছি নে । তাকে বশ করবার জন্তেই আমি মন্ত্রসাধনা করছি । সোমপাল । তাই তুমি সন্ন্যাসী হয়েছ ? 歌 সন্ন্যাসী । তাই বটে । সোমপাল । মন্ত্রে সিদ্ধিলাভ হবে ? সন্ন্যাসী । অসম্ভব নেই। সোমপাল। তাহলে ঠাকুর আমার কথা মনে রেখে । তুমি যা চাও আমি তোমাকে দেব । যদি সে বশ মানে তাহলে আমার কাছে যদি– সন্ন্যাসী । তা বেশ, সেই চক্রবর্তী সম্রাটকে আমি তোমার সভায় ধরে আনব । সোমপাল । কিন্তু বিলম্ব করতে ইচ্ছা করছে না । শরৎকাল এসেছে—সকাল বেল উঠে বেতসিনীর জলের উপর যখন আশ্বিনের রৌদ্র পড়ে তখন আমার সৈন্তসামস্ত নিয়ে দিগ্বিজয়ে বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে । যদি আশীৰ্বাদ কর তাহলে— সন্ন্যাসী । কোনো প্রয়োজন নেই ; শরৎকালেই আমি তাকে তোমার কাছে সমর্পণ করব, এই তো উপযুক্ত কাল । তুমি তাকে নিয়ে কী করবে ? সোমপাল। আমার একটা কোনো কাজে লাগিয়ে দেব—তার অহংকার দূর করতে হবে । $ সন্ন্যাসী । এ তো খুব ভালো কথা । যদি তার অহংকার চুর্ণ করতে পার তাহলে ভারি খুশি হব। সোমপাল । ঠাকুর, চলে আমার রাজভবনে । সন্ন্যাসী । সেটি পারছি নে। আমার দলের লোকদের অপেক্ষায় আছি। ভূমি ষাও বাবা । আমার জন্তে কিছু ভেবে না । তোমার মনের বাসনা যে আমাকে ব্যক্ত করে বলেছ এতে আমার ভারি আনন্দ হচ্ছে । বিজয়াদিত্যের যে এত শত্রু জমে উঠেছে তা তো আমি জানতেম না । সোমপাল । তবে বিদায় হুই। প্রণাম । [ প্ৰস্থান (পুনশ্চ ফিরিয়া আসিয়া ) আচ্ছা ঠাকুর, ভূমি তে বিজয়াদিত্যকে জান, সত্য করে বলে দেখি, লোকে তার সম্বন্ধে যতটা রটনা করে ততটা কি সত্য ? شهر