পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫8 রবীন্দ্র-রচনাবলী হাসিটালা মুর গলিয়া পড়িবে ক্ষণিক অশ্রধারে । রহিয়া রহিয়া যে পরশমণি ঝলকে অলককোণে, পলকের তরে সকরুণ করে বুলায়ো বুলায়ো মনে । সোনা হয়ে যাবে সকল ভাবনা, আঁধার হুইবে আল ৷ শেধর । পৌঁছেছে, গান আকাশের পারে গিয়ে পৌঁছেছে। দ্বার খুলেছে তার। দেখতে পাচ্ছ কি, শারদা বেরিয়েছেন । দেখতে পাচ্ছ না ? আচ্ছা তাহলে আগে ধ্যানের গানটি গেয়ে নিই। 疇 গান লেগেছে অমল ধবল পালে মন্দ মধুর হাওয়া । দেখি নাই কন্তু দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া । কোন সাগরের পার হতে আনে কোন সুদূরের ধন। ভেসে যেতে চায় মন, ফেলে যেতে চায় এই কিনারায় সব চাওয়া সব পাওয়া । পিছনে ঝরিছে ঝর বার জল গুরু গুরু দেয় ভাকে, মুখে এসে পড়ে অরুণ কিরণ ছিন্ন মেঘের ফাকে । ওগো কাণ্ডারী, কে গো তুমি, কার হাসিকান্নার ধন । ভেবে মরে মোর মন কোন স্বরে আজ বাধিবে যন্ত্র কী মন্ত্র হবে গাওয়া ॥ এবারে আর দেখতে পাই নি বলবার জো নেই। প্রথম বালক । কই দেখিয়ে দাও না ।