পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

赣 গ্রন্থ-পরিচর (?83) এই তার সঙ্গে আমার শেষ দেখা ও শেষ কথা । উপস্তাসের আরম্ভে এই ঘটনাটি উল্লেখযোগ্য। চার অধ্যায়, বিশেষত উহার “আভাস” বা ভূমিকা সাময়িক পত্রে তীব্রভাবে সমালোচিত হয় । এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ১৩৪২ সালের বৈশাখের প্রবাসীতে যে প্রত্যুত্তর প্রকাশ করেন, নিচে তাহ মুদ্রিত হইল : क्रॉब्र बथाiब्र नष८क &कक्ब्रिड আমার চার অধ্যায় গল্পটি সম্বন্ধে ষত তর্ক ও আলোচনা উঠেছে তার অধিকাংশই সাহিত্যবিচারের বাইরে পড়ে গেছে । এটা স্বাভাবিক, কারণ, এই গল্পের যে ভূমিকা, সেট রাষ্ট্রচেষ্টা-আলোড়িত বর্তমান বাংলাদেশের আবেগের বর্ণে উজ্জল করে রঞ্জিত । আমরা কেবল যে তার অত্যন্ত বেশি কাছে আছি তা নয় তার তাপ আমাদের মনে সর্বদাই বিকীরিত হচ্ছে । এইজন্তেই গল্পের চেয়ে গল্পের ভূমিকাটাই অনেক পাঠকের কাছে মুখ্যভাবে প্রতিভাত । এই অধুনাতন কালের চিত্ত-আন্দোলন দূর অতীতে সরে গিয়ে যখন ইতিহাসের উত্তাপবিহীন আলোচ্য বিষয়মাত্রে পরিণত হবে তখন পাঠকের কল্পনা গল্পটিকে অনাসক্তভাবে গ্রহণ করতে বাধা পাবে না এই আশা করি । অর্থাং তখন এর সাহিত্যরূপ স্পষ্ট হতে পারবে । এই রচনা সম্বন্ধে লেখকের তরফ থেকে আমার যা বক্তব্য সেটা বলে রাখি । বইটা লেখবার সময় আমি কী লিখতে বসেছিলুম সেটা আমার জানা সুতরাং এই ব্যক্তিগত খবরটা আমিই দিতে পারি ; সেটা কী হয়ে উঠেছে সে-কথা পাঠক ও সমালোচক আপন বুদ্ধি ও রুচি অনুসারে বিচার করবেন। সেই বুদ্ধির মাত্রাভেদ ও রুচির বৈচিত্র্য স্বাভাবিক, সুতরাং আলোচনা হতে থাকবে নানা ছাচের ও নানা মূল্যের, কালের উপর নির্ভর করে সে-সম্বন্ধে উদাসীন থাকাই লেখকের কর্তব্য । যেটাকে এই বইয়ের একমাত্র আখ্যানবস্তু বলা যেতে পারে সেট এলা ও অতীজের ভালোবাসা । নরনারীর ভালোবাসার গতি ও প্রকৃতি কেবল যে নায়কনায়িকার চরিত্রের বিশেষত্বের উপর নির্ভর কয়ে তা নয় চারিদিকের অবস্থার ঘাতপ্রতিঘাতের উপরেও । নদী আপন নিবীরপ্রকৃতিকে নিয়ে আসে আপন জন্মশিখর থেকে, কিন্তু সে আপন বিশেষরূপ নেয় তটভূমির প্রকৃতি থেকে । ভালোবাসারও সেই দশা, একদিকে আছে তার আস্তরিক সংরাগ,