পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১২ রবীক্স-রচনাবলী করিতে আমরা স্বাভাবিক কারণেই অক্ষম, সেই গরলকে উত্ৰিজ করিয়া তোলা দেশের ऋक भत्रलखनक किन, खांनि नीं । কিন্তু একটা অবস্থা আছে, যখন ফলাফল বিচার অসংগত এবং অন্যায়। ইংরেজ যখন অন্যায় করিয়া আমাকে অপমান করে, তখন যতটুকু আমার সামর্থ আছে, তৎক্ষণাৎ তাহার প্রতিকার করিয়া জেলে যাওয়া এবং মরাও উচিত। ইহা নিশ্চয় জানিতে হইবে যে, হয়তো ঘূৰায় পারিব না এবং হয়তো বিচারশালাতেও দোষী সাব্যস্ত হইব ; তথাপি জন্তায় দমন করিবার জন্য প্রত্যেক মানুষের যে স্বৰ্গীয় অধিকার অাছে, যথাসময়ে তাহা যদি না খাটাইতে পারি, তবে মহন্মের নিকট হেয় এবং ধর্মের নিকট পতিত হইব। নিজের দুঃখ ও ক্ষতি আমরা গণ্য না করিতে পারি, কিন্তু যাহা অন্যায়, তাহা সমস্ত জাতির প্রতি এবং সমস্ত মানুষের প্রতি অন্তায় এবং বিধাতার স্কায়দণ্ডের ভার আমাদের প্রত্যেকের উপরেই আছে। বিদ্বেষ হইতে, বাহাদুরি হইতে, স্পর্ধ হইতে নিজেকে সর্বপ্রযত্নে বঁাচাইয়া, ন্যায়নীতির সীমার মধ্যে কঠিনভাবে নিজেকে সংবরণ করিয়া দুষ্টশাসনের কর্তব্য আমাদিগকে গ্রহণ করিতেই হইবে। শারীরিক কষ্ট, ক্ষতি বা অকৃতকার্যতা ভয়ের বিষয় নহে—ভয়ের বিষয় এই যে, ধর্মকে বিশ্বত হইয়া প্রবৃত্তির হাতে পাছে আত্মসমর্পণ করি, পরকে দণ্ড দিতে গিয়া পাছে আপনাকে কলুষিত করি, বিচারক হইতে গিয়া পাছে গুগু হইয়া উঠি । আমরা দেখিয়াছি, দুই দিক বঁাচাইয়া চলা সাধারণ মানুষের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন, এইজন্ত ভালোমন্ত্ৰ ওজন করিয়া অনেক সময় আমাদিগকে একটা জিক অবলম্বন করিতে হয়। কিন্তু ধর্মের সঙ্গে সেরূপ রফা করিতে গেলেই সেই ছিদ্ৰযোগে শনি প্রবেশ করে—প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তির যে সামঞ্জস্যপথ আছে, তাহ অত্যন্ত দ্বন্ধস্থ হইলেও তাহাই আমাদিগকে নিয়তযত্বে অনুসন্ধান ও অবলম্বন করিতে হইৰে—নতুবা বিনাশপ্রাপ্ত হইতেই হইবে। ধর্মের এই অমোঘ নিয়ম হইতে যুরোপ বা এশিয়া কাহারও নিষ্কৃতি নাই । অতএব ঘুষাঘুষি-মারামারির কথা যখন ওঠে, তখন সাবধান হইতে বলি। দেবতার ভূণেও অস্ত্র আছে, দানবের ভূণও শূন্ত নহে—অপ্ৰমত্ত হইয়া অস্ত্র নির্বাচন যদি করিতে পারি, তবেই যুদ্ধের অধিকার জন্মে, তখন কর্মণ্যেৰাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন। S\^> e