১২ রবীন্দ্র-রচনাবলী
রক্তিম অংশুক মাথে, কিংশুককঙ্কণ হাতে, মীরঝংকৃত পায়ে, সৌরভমম্বর বায়ে,
বন্দনসংগীতগুঞ্জনমুখরিত
নন্দনকুঞ্জে বিরাজো |
বীণার সঙ্গে রাজকুমারীর মালা বদল হল। সখীরা এই বীণা সুন্দরকে উৎসর্গ করে গাইলে—
লহে লহো তুলে লহো নীরব বীণাখানি, নন্দননিকুঞ্জ হতে স্বর দেহে তায় আনি
ওহে সুন্দর হে সুন্দর । আঁধার বিছায়ে অাছি রাতের আকাশে
তোমারি অাশ্বাসে, তারায় তারায় জাগাও তোমার আলোক-ভরা বাণী
ওহে সুন্দর হে সুন্দর।
পাষাণ আমার কঠিন দুখে তোমায় কেঁদে বলে— পরশ দিয়ে সরস করো, ভাসাও অশ্রুজলে
ওহে সুন্দর হে সুন্দর । শুষ্ক যে এই নগ্ন মরু নিত্য মরে লাজে
আমার চিত্তমাঝে, শু্যামল রসের আঁচল তাহার বক্ষে দেহে টানি ॥
বধু পতিগৃহে যাবার সময় সখীরা স্বন্দরকে প্রণাম করে বললে—
রাঙিয়ে দিয়ে যাও গে৷ এবার যাবার আগে ।
আপন রাগে, গোপন রাগে, তরুণ হাসির অরুণ রাগে,
অশ্রািজলের করুণ রাগে ।
রঙ যেন মোর মৰ্মে লাগে— আমার সকল কর্মে লাগে—
সন্ধ্যাদীপের আগায় লাগে— গভীর রাতের জাগায় লাগে ।
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১২
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
