পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S२8 রবীন্দ্র-রচনাবলী সেথা আমি গেথে আছি দুদিনের কুটির মৃত্তির ;তোমার উৎসবে আমি আজি গাব এক রজনীর পথ-চলা গান, কালি তার হবে সমাপন। ¢ थ*खन >७७8 [ শাস্তিনিকেতন | নীলমণিলতা শান্তিনিকেতন উত্তরায়ণের একটি কোণের বাড়িতে আমার বাসা ছিল । এই বাসার অঙ্গনে আমার পরলোকগত বন্ধু পিয়র্সন একটি বিদেশী গাছের চারা রোপণ করেছিলেন । অনেককাল অপেক্ষার পরে নীলফুলের স্তবকে স্তবকে একদিন সে আপনার অজস্র পরিচয় অবারিত করলে। নীল রঙে আমার গভীর আনন্দ, তাই এই ফুলের বাণী আমার যাতায়াতের পথে প্রতিদিন আমাকে ডাক দিয়ে বারে বারে স্তব্ধ করেছে। আমার দিক থেকে কবিরও কিছু বলবার ইচ্ছে হত কিন্তু নাম না পেলে সম্ভাষণ করা চলে না। তাই লতাটির নাম দিয়েছি নীলমণিলতা। উপযুক্ত অনুষ্ঠানের দ্বারা সেই নামকরণটি পাকা করবার জন্যে এই কবিতা । নীলমণি ফুল যেখানে চোখের সামনে ফোটে সেখানে নামের দরকার হয় নি, কিন্তু একদা অবসানপ্রায় বসন্তের দিনে দূরে ছিলুম, সে-দিন রূপের স্মৃতি নামের দাবি করলে। ভক্ত ১০১ নামে দেবতাকে ডাকে সে শুধু বিরহের আকাশকে পরিপূর্ণ করবার জন্তে । ফাল্গুনমাধুরী তার চরণের মন্ত্রীরে মন্ত্রীরে নীলমণিমঞ্জরির গুঞ্জন বাজায়ে দিল কি রে । আকাশ যে মৌনভার বহিতে পারে না আর, নীলিমাবস্তায় শূন্যে উচ্ছলে অনন্ত ব্যাকুলত, তারি ধারা পুষ্পপাত্রে ভরি নিল নীলমণিলতা