পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কড়ি ও কোমল মানবহৃদয়ের বাসনা নিশীথে রয়েছি জেগে৷ ; দেখি অনিমিখে, লক্ষ হৃদয়ে সাধ শূন্যে উড়ে যায় । কত দিক হতে তারা ধায় কত দিকে । কত-না অদৃশ্যকীয়া ছায়া-আলিঙ্গন বিশ্বময় করে চাহে করে হায়-হায় । কত স্মৃতি খুঁজিতেছে শ্মশানশয়ন— অন্ধকারে হেরো শত তৃষিত নয়ন । ছায়াময় পাখি হয়ে কার পানে ধায় । ক্ষীণশ্বাস-মুমূর্ষুর অতৃপ্ত বাসনা ধরণীর কুলে কুলে ঘুরিয়া বেড়ায় । উদ্দেশে ঝরিছে কত অশ্রাবারিকণা, চরণ খুঁজিয়া তারা মরিবারে চায় । কে শুনিছে শত কোটি হৃদয়ের ডাক ! নিশীথিনী স্তব্ধ হয়ে রয়েছে অবাক । সিন্ধুগৰ্ভ নীল সমুদ্রের পরে নৃত্য ক’রে সারা । কোথা হতে ঝরে যেন অনন্ত নিঝর, ঝরে আলোকের কণা রবি শশী তারা । ঝরে প্রাণ, ঝরে গান, ঝরে প্ৰেমধারা— পর্ণ করিবারে চায় আকাশ সাগর । সহসা কে ডুবে যায় জলবিম্বপারা— দু-একটি আলো-রেখা যায় মিলাইয়া, তখন ভাবিতে বসি কোথায় কিনারাকোন অতলের পানে ধাই তলাইয়া ! নিম্নে জাগে সিন্ধুগৰ্ভ স্তব্ধ অন্ধকার । কোথা নিবে যায় আলো, থেমে যায় গীতকোথা চিরদিন তরে অসীম আড়াল ! কোথায় ডুবিয়া গেছে অনন্ত অতীত ! ক্ষুদ্র অনন্ত অনন্ত দিবসরাত্রি কালের উচ্ছাস— তারি মাঝখানে শুধু একটি নিমেষ, একটি মধুর সন্ধ্যা,একটু বাতাস, মৃদু আলো-আঁধারের মিলন-আবেশ— このa