পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিপিক{ كم > > > উৎপাটিত করে আনতে সংশয় বোধ করে না। এই মাহুষের পক্ষে জরিজেব যেমন সত্য দুর্বোধনও তেমনি সত্য । কোনটার প্রমাণ বেশি, কোনটার প্রমাণ কম, সে হিসাবে নয় ; কেবল গল্প হিসাবে কোনটা খাটি, সেইটেই তার পক্ষে সবচেয়ে সত্য। মানুষ বিধাতার সাহিত্যলোকেই মাহুষ ; স্বতরাং না সে বন্ধতে গড়া, না তত্ত্বে— অনেক চেষ্টা করে হিতৈষী কোনোমতেই এই কথা মানুষকে ভোলাতে পারলে না । অবশেষে হয়রান হয়ে ছিতকথার সঙ্গে গল্পের সন্ধিস্থাপন করতে সে চেষ্টা করে, কিন্তু চিরকালের স্বভাবদোষে কিছুতে জোড়া মেলাতে পারে না । তখন গল্পও বায় কেটে, স্থিত কপাও পড়ে থ’লে, আবর্জনা জমে ওঠে । মীনু মীয় পশ্চিমে মানুষ চয়েছে । ছেলেবেলায় ইদারার ধারে তুতের গাছে লুকিয়ে ফল পাড়তে যেত ; আর আড়রপেতে যে বুড়ে মালী ঘাস নিড়েতি তার সঙ্গে ওর ছিল ভাব । বড়ো হয়ে জৌনপুরে হল ওর বিয়ে । একটি ছেলে হয়ে মারা গেল, তার পরে ডাক্তার বললে, "এ ৪ বঁাচে কি ন:-বাচে ।” তপন তাকে কলকাতায় নিয়ে এল । ওর অল্প বয়েস । কাচা ফলটির মতে ওর কাচা প্রাণ পৃথিবীর বেঁটা শক্ত করে স্বাকড়ে ছিল । যা-কিছু কচি, ধা-কিছু সবুজ, বা-কিছু সজীব, তার পরেই ওর বড়ো টান । আঙিনায় তার আট-দশ হাত জমি, সেইটুকুতে তার বাগান । এই বাগানটি ছিল যেন তার কোলের ছেলে । তারই বেড়ার পরে যে কুমকোলত লাগিয়েছিল । এইবার সেই লতায় কুঁড়ির আভাস দিতেই সে চলে এসেছে। পাড়ার সমস্ত পোষা এবং না-পোষা কুকুরের অন্ন আর আদর ওরই বাড়িতে । তাদের মধ্যে সবচেয়ে যেটিকে সে ভালোবাসত তার নাক ছিল খাদা, তার নাম ছিল ভেঁাতা। তারই গলার পরাবে বলে মীন্থ রঙিন পুতির মালা গাখতে বসেছিল। সেটা শেষ হল না। ধার কুকুর সে বললে, “বউদিদি, এটিকে তুমি নিয়ে যাও।” মীন্থর স্বামী বললে, "বড়ো হাঙ্গাম, কাজ নেই।” ૨૭ાના