পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գեր রবীন্দ্র-রচনাবলী বক্ষ কেন উঠছে নাকে দুলি, নারীর পায়ে বাক নৃপুরগুলি কেমন যেন বলছে বেস্থর বুলি, তেমন ক’রে কাকন বাজছে না ! চোখে কেন লাগছে নাকে নেশা, মনে মনে ভাবছে কেসর খা । পাঠান কহে, রাজপুতানীর দেহে কোথাও কিছু নাই কি কোমলতা ! বাহুযুগল নয় মৃণালের মতো, কণ্ঠস্বরে বজ্র লজ্জাহত— বড়ো কঠিন শুষ্ক স্বাধীন যত মঞ্জরীহীন মরুভূমির লতা ? পাঠান ভাবে দেহে কিম্বা মনে রাজপুতানীর নাইকে কোমলতা। তান ধরিয়া ইমন-ভূপালিতে বঁশি বেজে উঠল দ্রুত তালে । কুণ্ডলেতে দোলে মুক্তামালা, কঠিন হাতে মোট সোনার বাল, দাসীর হাতে দিয়ে ফাগের থাল রানী বনে এলেন হেনকালে । তান ধরিয়া ইমন-ভূপালিতে বাশি তখন বাজছে দ্রুততালে । কেসর কহে, তোমারি পথ চেয়ে দুটি চক্ষু করেছি প্রায় কান ? রানী কহে, ‘আমারো সেই দশা ? এক-শে সর্থী হাসিয়া বিবশা— পাঠান-পতির ললাটে সহসা মারেন রানী কাসার থালাখানা ।