বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম দৃশ্য রম! ) ఆ సి ত জানি তার হাতে একটা তৃণ পর্যন্ত ছিল না, তবু আদালতে দাড়িয়ে স্মরণ করতেই পারলাম না, হাতে তার ছুরি ছোরা ছিল কি না ! বিশ্বেশ্বরী । রমা— রম । জ্যাঠাইমা, তুমি বলছিলে মিথ্যে তো আমি বলিনি। এখানকার আদালতে হলফ কোরে মিথ্যে হয়ত আমি বলিনি,কিন্তু যে-আদালতে হলফ করার বিধি নেই, সেখানে আমি কি জবাব দেবো ? উঃ—ভগবান! সত্য-গোপনের যে এত বড় বোঝা এ আমাকে তুমি আগে জানতে দাওনি কেন ? বিশ্বেশ্বরী। কিন্তু আমি তোমাকে বলুচি মা, শাস্তি তার হয়েছে সত্যি, কিন্তু অকল্যাণ তার কখনো হবে না । রম । হবে কি কোরে জ্যাঠাইমা, আঙ্গ সমস্ত অকল্যাণের ভার এসে পড়েছে যে আমার মাথার ওপর । বিশ্বেশ্বরী। একলা তোমার মাথায় পড়েনি মা, আমরা সবাই মিলে তাকে ভাগ কোরে নিয়েছি। অসত্যাচারী সমাজের যে-কাপুরুষের দল মিথ্যে দুর্নামের ভয় দেখিয়ে তোমাকে ছোট করেছে, এ পাপের ভীরে তাদের মাথা আজ পথের ধূলোয় । বেণীর মা আমি, আমার মাথা মাটিতে লুটোচ্চে রম, কখনো আর তুলতে পারব না । রম । অমন কথা তুমি বোল না জ্যাঠাইমা। কিন্তু আমি কি করেছিলাম জানো ? জনশূন্ত অন্ধকার পথে একলা দেখা কোরে সেধেছিলাম, রমেশদ, তুমি যাও,—যাও এখান থেকে । বিশ্বাস করলেন না, বললেন, আমি চলে গেলে তোমার লাভ কি ? আমার লাভ ? হঠাৎ ব্যথার ভারে যেন পাগল হয়ে গেলাম । বোললাম, লাভ কিছুই নেই,— কিন্তু না গেলে আমার অনেক ক্ষতি । আমার মহামায়ার পূজোয় কেউ আসবে না, আমার যতীনের উপনয়নে কেউ খাবে না,—তুমি দেশে থেকে