বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম দৃশ্য রম{ ఫిసి এ কাজ তোমারি । আমার যতীনকে তুমি হাতে তুলে নিযে, আমার সকল অপরাধ ক্ষমা কোরে অ্যজ আশীৰ্ব্বার কর যেন নিশ্চিস্ত হয়ে আমি যেতে পারি। রমেশ । কিন্তু যাবার কথাই বা তুমি কেন ভাবচ রম,—আমি বলুচি তুমি আবার ভাল হয়ে যাবে। রম । ভাল হবার কথা ত ভাবচিনে রমেশঙ্গা, শুধু ভাবচি আমার যাবার কথা। কিন্তু আরও একটি অনুরোধ তোমাকে রাখতে হবে । আমার কথা নিয়ে বড়দার সঙ্গে তুমি কোনদিন বিবাদ কোরে না । রমেশ । এ কথার মানে ? রম । মানে যদি কখনো শুনতে পাও,সেদিন কেবল এই কথাটি মনে কোরে, আমি কেমন কোরে নিঃশব্দে সহ ক’রে চলে গেছি—একটি কথারও প্রতিবাদ করিনি। একদিন যখন অসহ্য মনে হয়েছিল, সেদিন জ্যাঠাইম এসে বলেছিলেন,—ম, মিথ্যেকে ঘাটাঘাটি ক’রে জাগিয়ে তুললেই তার পরমায়ু বেড়ে ওঠে। নিজের অসহিষ্ণুতায় তার আয়ু বাড়িয়ে তোলার মত পাপ অল্পই আছে । তার এই উপদেশটি স্মরণ রেখে সকল দুঃখ-দুর্ভাগ্যই আমি কাটিয়ে উঠেচি। এটি তুমিও কখনো ভুলোনা রমেশদা । রমেশ নীরবে তাহার মুখের প্রতি চাহিয়া রহিল। রম । আজ আমাকে তুমি ক্ষমা করতে পারচ না ভেবে দুঃখ পেয়ে না রমেশদ । আমি ঠিক জানি আজ যা কঠিন মনে হচ্চে, একদিন তাই সোজা হয়ে যাবে। সেদিন আমার সকল অপরাধ তুমি সহজেই ক্ষম কোরবে জেনে মনের মধ্যে আর আমার ক্লেশ নাই –কাল সকালেই আমি যাচ্চি । রমেশ । কাল সকালেই ? কোথায় যাবে কলি ? ఫి