বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tూ রম প্রখম জঙ্ক রমেশ । তোমার দীর্ঘনিশ্বাসের মৰ্ম্ম বোঝা কঠিন জ্যাঠাইমা, কিন্তু আমার সঙ্গে তো এর কোন যোগ নেই। আমাকে বিদেশী বললেই হয়,— কারে সঙ্গে শক্রতাও নেই, দলাদলিও নেই,—আমি কাউকে অপমান করতে পারব না ; সকলকেই সসন্ত্রমে আহবান ক’রে আনব । জ্যাঠাইমা ! উচিত ভ ভাই। কিন্তু—যাই চোক, সকলের মত নিয়ে এ কাজটা করিস বাবা, নইলে ভারি গণ্ডগোল হবে । মা, বিপদ-তারিণী । রমেশ । তুমি কি এখুনি চলে যাচ্চ ? - জ্যাঠাইমা । না, এখখুনি নয়। দু একটা কাজ পড়ে আছে সেগুলো সেরে ফেলেই যাবো। কিন্তু চাবি আমার সঙ্গে রইলো রমেশ, কাল সক্কালেই আমি নিজে এসে ভাড়ার খুলব । - প্রস্থান ধৰ্ম্মদাস, গোবিন্দ ও পরাণ হালদারের প্রবেশ গোবিনা । ( রমেশের প্রতি ) বাবা, এই পরাণ মামাকে ধরে নিয়ে এলাম। আসতে কি চায় ? কিন্তু আমিও ছাড়নে-বালা নই। বলি, বেণীই জমিদার আর আমার ভাগ্নে রমেশ নয় ? (উপরের দিকে মুখ তুলিয়া) তারিণীদ, স্বর্গে বসে সমস্তই দেখচে গুচে, কিন্তু এই তোমার কাছে প্রতিজ্ঞে কয়ূচি আমি, এই উঠোনের ওপর বেশীর যদি না এমূনি করে নাকুরগড়াতে পারি ত আমার নামই গোবিন গাঙলী নয়। ধৰ্ম্মনাস। আহ, তুই থাম্না গোবিন্দ ! (কাশিতে কাশিতে ) সে আমি ঠিক করে নেবো । অকস্মাৎ বেণী ঘোষাল প্রবেশ করিল বেণী । এই যে রমেশ, একবার এলাম-বড় জরুরি কাজ—ম! এসেছেন নাকি ?