বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ço কুমা দ্বিতীয় অঙ্ক বলে, বডবাবু তোমাকে ডাকৃচে । মিথ্যে বোলবন বাবা, হাতের ছকে হাতে রইলো, একবার টানবার সময় হল না । ছাতি আর ছড়িটি হাতে নিয়ে বেরিয়ে পোড়লাম । তোমাব খুড়ি বললে এ দুর্যোগে যাও কোথা ? বললুম থাম্ মাগী, আবার পেছু ডাকে ! দেখছিস বড়বাবু ডাকতে পাঠিযেছে না ? তার আবার সুযোগ দুৰ্য্যোগ কি ? বেণী । জান ত খুড়ে তোমার পরামর্শ ছাড়া আমি এক-পা কোথাও চলি নে । আমার কাছে কান্নাকাটি কোরে যখন হ’ল না, তখন ব্যাটার গেল ছোটবাবুর কাছে দরবার করতে। ছোৎকা-গোয়ার, ওর কি ! হয়ত বলে বসবে, হোকৃগে লোকসান আমাদের দে তোরা বাধ কেটে । গোবিন্দ। পারে, ও হারামজাদ সব পারে বড়বাবু। (গলা ছোট করিয' ) বলি রমাকে একটু খবর দিযে রেখেচ ত ? সে ছড়ারও সব সময়ে মেজাজের ঠিক থাকে না । গরীব-দুখীর কান্না দেখলে হয়ত বা সায় দিয়েই বসবে। বেণী। নাঃ—সে ভয় নেই খুড়ে, তাকে আমি সকালবেলাতেই টিপে দিয়ে রেখেচি কাল রাত্তির থেকেই একটা কাণ-ঘুষে গুৰূচি কি না ! ঐ যে ! আবার ক” বেটা এই দিকেই আসচে। ক্ষয়কজন কৃষকের প্রবেশ । তাহাদের সর্বাঙ্গ জলে ও কাদায় একাকার হইয়া গেছে কৃষকেরা। (সমস্বরে) দোহাই বড়বাবু, গরীবদের বঁাচান। এ আবাদ পচে গেলে আমরা ছেলে-পুলে নিয়ে অনাহারে মরব। গোবিনা । কেন হে সনাতন, মুরুব্বির ছুটে গেলেন যে ছোটবাবুর কাছে ! এখন বঁাচান্‌ না তিনি। সনাতন। যে গেছে সে গেছে গাঙুণী মশাই, আমরা এই পা দুটিই জানি, এই পা ধরেই পড়ে থাকুব । ( বেণীর পদতলে পড়িয়া ক্রনন )