পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२७ স্ত্রী-পুরুষ সম্মিলনের উদেশু। [ ৪র্থ অঃ கற்ற গুরু। বলি শোন । যদি রসের অাকর্ষণ ও লালসা বিদ্যমান না থাকিত, তবে কেবলমাত্র স্বষ্টিকাৰ্য্যের স্রোত অব্যাহত রাখিবার জন্ত কেহই ঐ ক্রিয়ায় পরিলিপ্ত হইত না । দরিদ্র সন্তানভারে নিপীড়িত,-যাহা জন্মিয়াছে, তাহারই ভরণপোষণে অক্ষম—তথাপি সন্তানোৎপাদন-ক্রিয়ায় পরিলিপ্ত। নিঃসম্পৰ্কীয় যুবক যুবতী, সন্তান-অকামী নর-নারী কেন সংমিলিত হয়,—ঐ লালসার আগুণে দগ্ধ হইয়া থাকে। সে লালসা কি জান ? মুখের অনুভূতি। যেমন মুখের অনুভূতির আকুল আকর্ষণে আত্মহারা হইয়া পতঙ্গ আগুণে ঝাপ দেয়, নর নারী তদ্রুপ মুখের আকর্ষণ-লালসায় আবদ্ধ হইয়া সংমিলিত হয়। হিতাহিত-জ্ঞান পরিশূন্ত হয়,—আত্মহত্যা করিতেও কুষ্ঠিত হয় না। কিন্তু মুহূর্তের সংমিলনাস্তেই ক্লান্ত ও কবিত্ব হীন হয়,—আবার পরক্ষণেই সেই আকুল আকর্ষণ,—সেই মরণ ত:গুব ! কেন এমন হয়, জাম ? সেই সুখের আকাঙ্ক্ষা । পিতৃশক্তি ও মাতৃশক্তির সংমিলনেচ্ছা। ইতঃপূৰ্ব্বে বলিয়াছি, পিতৃশক্তি যাহা, তাহা ঈশ্বর ; আয় মাতৃশক্তি যাহা, তাহা প্রকৃতি ;–এই প্রকৃতি ও পুরু{ হইতেই সমস্ত জগৎ স্বষ্টি, পালন ও লয় হইতেছে। এই প্রকৃতি ও পুরুষের মিলনাশাতেই জীবের সুখানুভূতি। আত্মবা পুরুষগণ নিজদেহে উহার উপলব্ধি করিতে পারেন, --অন্তে তাহ পারে না । অন্তে কেবল আকর্ষণেই আকৰ্ষিত । স্ত্রী ও পুংজাতীয় তড়িৎশক্তি ও চুম্বক শক্ত্যাদির সম্মিলন l-l-l