পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নূতন গ্রন্থের সমালোচন। [রহস্য-সন্দর্ভ । অনল প্রয়োগ লোকে করে কোন বনে । কোথাও বা অস্ত্রাঘাতে কাটে তরুগণে । গহনের স্থানে হয় সুচারু কানন । নাহি রছে আর কভু দুষ্টজন্তুগণ । স্বভাবের নবভাব প্রকাশিত হয় । পরিমলসনে বায়ু মন্দ মন্দ বয় । “ কত শত রোগ দেথ রিপুর সমান । মানবগণের দেহে করে কষ্ট দান | তথাপি চিকিৎসাশাস্ত্রে নিপুণ যে জন । সে জন করিতে পারে কষ্ট নিবারণ | জ্বরের যন্ত্রণাভোগ নাহি হয় অার । ক্রমে ক্রমে হয় পুনঃ স্বাস্থ্যের সঞ্চার । “ দর্শনশাস্ত্রের গুণ কিবা মনোহর। তাহাতে সুনীতি কত প্রাপ্ত হয় নর । রিপুগণে জ্ঞান বলে করিয়া দমন | কুচিন্তাকুকৰ্ম্মে মন না করে আপণ ৷ “ কোন কৰ্ম্ম নাহি পারে শিল্পী শ্রমী জন । দর্শন শাস্ত্রের বলে করিতে সাধন । স্বেচ্ছাচারী রাজা কিম্বা দুষ্টমতিদল । যথন দেশের মধ্যে করে অমঙ্গল । তথন সূবিজ্ঞজন কৃপাপূর্ণ চিতে । ব্যগ্র হন অত্যাচার দমন করিতে ॥ রাজনীতিশাস্ত্র গুণে করিয়া যতন । মঙ্গলার্থে পুনঃ শান্তি করেন স্থাপন ৷” ২ । “ চিত্তোৎকর্ষ বিধানম। গ্ৰীধৰ্ম্মদাস অধিকারী কর্তৃক অনুবাদিত ।” এই খানি বিশেষ অনুমোদনীয় গ্রন্থ । ইহাতে সুবিখ্যাত ইউরোপীয় দার্শনিক খ্ৰীযুক্ত ওয়াট সাহেবকর্তৃক বিরচিত চিত্তের উৎকর্ষ-সাধনের উপায়-বিষয়ের প্রস্তাবটী সরল সংস্কৃত পদ্যে বিন্যস্ত করা হইয়াছে । ইহার পাঠে এতদ্দেশীয় পণ্ডিত মহাশয়গণ দেখিবেন যে দর্শন-শাস্ত্রে ইউরোপীয়ের নিন্দনীয় নহেন; ৷ প্রত্যুত তাহারা উহাতে এতদেশীয় লোকাপেক্ষ অধুনা অধিকতর উন্নতিসিদ্ধ করিয়াছেন । গ্রন্থের রচনা পরিপাট হুইয়াছে মানিতে হুইবে । পরন্তু তাহা সংস্কৃত ভাষায় সিদ্ধ হওয়াতে তাহার বিশেষ বিবরণ এস্থলে প্রয়োনীয় নহে। ৩ । প্রযুত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের “ উপক্রমশিকা” নামক সংস্কৃত ব্যাকরণের ইংরাজী অনুবাদ । শ্ৰীযুক্ত বাবু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় ইহার অনু বাদক। উক্ত বাবু গৌড়ীয় ভাষায় সুরচনাবিষয়ে বঙ্গদেশে প্রসিদ্ধ আছেন , এব° তাহার “ তেলি মেকস” এবং “নীতিবোধ ” নামক পুস্তকদ্বয় সর্বত্র সমাদৃত আছে। বর্তমান গ্রন্থে তিনি সংস্কৃত জ্ঞানের পথ বিশেষৰূপে পরিষ্কৃত করিয়াছেন। ১/৪। “ চন্দ্রবিলাস নাটক। ক্রপ্রেমধন অধিকারী প্রণীতা” গ্রন্থকার কহেন “ইহাতে উপন্যাসচ্ছলে ভারত-ভূমির প্রাচীন কালিক হিন্দুরাজগণের শাসনাধীনে জনসমাজের অবস্থার কিঞ্চিৎ আভাস প্রদর্শিত হইয়াছে;” পরন্তু তিনি পুরারক্তবিষয়ে তাদৃশ পারদর্শী নহেন, এবং রচনাবিষয়েও বিশেষ পটু নহেন, সুতরা নাটকে র্তাহার আয়াস সুসিদ্ধ হইয়াছে ইহা আমরা বলিতে পারিলাম না। রঙ্গস্থলে ইহার অদ্ধেক পরিত্যাগ না করিলে দর্শকের সহ্য হইবেক না, এবং পাঠসময়ে ইহার তিন পাদ বিস্মৃত হওয়াই বিধেয় । একথায় গ্রন্থকার আমাদিগের প্রতি ৰুষ্ট হইবেন, সন্দেহ নাই ; পরন্তু আমরা তাহাকেই জিজ্ঞাসা করি যে নিম্নোদ্ভূত"পদ্য গুলিতে ব্যঙ্গ, রস, ভাব, কবিত্ব, ইহার কোন গুণের পরিচয় দিয়াছেন ? পাঠকবৃন্দ সকলেই স্বীকার করিবেন যে বটতলার কবিরাও দুষ্ট সরস্বতীর প্রসাদে ইহাহইতে অনেক শ্রেঃ পদ্য লিথিয় থাকে । . বেড়াই আমি যমের দূত সামনে গিয়ে, যুদ্ধ দিয়ে, মাfর মত রাজ পুত ॥ ১ দসু্য —আমি ভাই, মেগে থাই, লাঠি লাজি না জানি ।