পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২২৯
ঈশানচন্দ্রমাণিক্য

 অতঃপর ব্রজমোহন ঠাকুর বলরামের পদে অধিষ্ঠিত হইয়া রাজ্য ও জমিদারী পরিচালন করিতে লাগিলেন। ১২৬১ ত্রিপুরাব্দে যুবরাজ উপেন্দ্রচন্দ্র পরলোক গমন করেন। মহারাজ ঈশানচন্দ্রের বড় মহারাণী রাজলক্ষ্মী দেবী নিঃসন্তান ছিলেন। মধ্যম মহারাণী মুক্তাবলীর গর্ভে কুমার ব্রজেন্দ্রচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন, চতুর্থ মহারাণী জাতীশ্বরী দেবীর গর্ভে কুমার নবদ্বীপচন্দ্র জাত হন।

 ব্রজমোহন ঠাকুর মহা ফাঁপরে পড়িলেন। ঋণভার কমাইবার কোন উপায় খুজিয়া না পাইয়া অন্ধকার দেখিতে লাগিলেন এদিকে ঋণের দায়ে চাকলে রোশনাবাদ বিক্রয় হইবার মত হইয়া উঠিল। মহারাজ ঈশানচন্দ্র ব্রজমোহনের অবস্থা বুঝিয়া যোগ্যতম লোকের অন্বেষণ করিতে লাগিলেন। কলিকাতার সুপ্রসিদ্ধ দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়কে (যিনি পরে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত হন) উক্ত পদে মনোনীত করিবার জন্য মহারাজের সান্নিধ্যে আহ্বান করিয়া আনা হয়। এমন সময় রাজগুরু প্রভু বিপিনবিহারী গোস্বামী উক্ত নির্ব্বাচনে বাধা দেন। মহারাজের গুরুভক্তি অপরিসীম ছিল, তাই তিনি মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের নিয়োগ পত্র ছিঁড়িয়া ফেলিয়া তাঁহাকে বিদায় করিয়া দেন এবং সেই ভার স্বীয় গুরুর চরণে সমর্পণ করেন। তেজস্বী বিপিনবিহারী উহা গ্রহণ করেন।

 তখন হইতে বিপিনবিহারী রাজকার্য্যে মহারাজের কর্ণধার হইলেন। তিনি যে মহারাজের অকৃত্রিম শুভানুধ্যায়ী ছিলেন