বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজমোহনের স্ত্রী.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজমোহনের স্ত্রী

পাপ-পুণ্যের খবর রাখি না। কিন্তু আমার আড়াই কুড়ি মিনসে থাকলেও আমি ভয় করতাম না।

 “বড় বুকের পাটা—বলিয়া হাসিতে হাসিতে যুবতী কলসী আনিতে উঠিল; পঞ্চাশটা! হ্যালো, এতগুলি কি তোর সাধ?

 “কনক দুঃখের হাসি হাসিয়া কহিল, মুখে আনিতে পাপ; কিন্তু বিধাতা যে একটা দিয়েছেন, পঞ্চাশটাও যদি তেমনি হয়, তবে কোটী খানেকেই বা কি ক্ষতি? কাহারও সঙ্গে যদি দেখাসাক্ষাৎ না হইল তবে আমি কোটী পুরুষের স্ত্রী হইয়াও সতীসাধ্বী পতিব্রতা।

 “কুলীনে কপাল—বলিয়া তরুণী চঞ্চল পদে পাকশালা হইতে একটি ক্ষুদ্র কলসী আনয়ন করিলেন। যেমন বারিবাহিনী তেমনই কলসী। তখন উভয়ে প্রবাহিনী অভিমুখে যাত্রা করিলেন। কনক হাসিতে হাসিতে কহিল, এখন এস দেখি মোর গৌরবিনী, হাঁ-করাগুলোকে একবার রূপের ছটাটা দেখাইয়া আনি।

 “মর পোড়ার বাঁদর—বলিয়া কনকের সমভিব্যাহারিণী অবগুণ্ঠনে সলজ্জবদন আচ্ছন্ন করিলেন।”


দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

প্রথম সন্দর্শন

 “অপনীত সূর্য্যকর নারিকেলাদি বৃক্ষাগ্রভাগ হইতে অন্তর্হিত হইয়াছে; কিন্তু এখন পর্য্যন্ত নিশা ধরাবাসিনী হয় নাই। এমন সময় কনক ও তাহার সমভিব্যাহারিণী কলসীকক্ষে গৃহে প্রত্যাবর্ত্তন করিতেছিল। পথিপার্শ্বে একটি ক্ষুদ্র উদ্যান ছিল; পূর্ব্ববঙ্গ মধ্যে তদ্রূপ উদ্যান বড় বিরল। সুশোভন লৌহরেলের পরিধি মধ্য হইতে অসংখ্য গোলাপ ও