পাতা:রাজযোগ.djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রত্যাহার ও ধারণা ঘণ্ট-ধ্বনির ন্যায় শব্দ শুনা যাইবে—যেন অনেকগুলি ঘণ্টা দূরে বাজিতেছে ও সেই সমস্ত শব্দ একত্রে মিলিয়া কর্ণে যেন তৈলধারাবৎ শব্দপ্রবাহ আসিতেছে। কখন কখন দেখিবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোককণা যেন শূন্যে ভাসিতেছে ও ক্রমশ: একটু একটু করিয়া বৰ্দ্ধিত হইতেছে। যখন এই সকল লক্ষণ প্রকাশ পাইবে, তখন বুঝিবে, তুমি খুব দ্রুত উন্নতির পথে চলিতেছ। যাহারা যোগী হইতে ইচ্ছা করেন এবং খুব অধিক অভ্যাস করেন, তাহাদের প্রথমাবস্থায় আহাব সম্বন্ধে একটু বিশেষ দৃষ্টি রাখা আবশ্যক । যাহাবা খুব বেশী উন্নতি করিত্নে ইচ্ছা করেন, তাহাবা যদি কয়েক মাস কেবল দুগ্ধ ও অন্নাদি নিবামিষ ভোজন করিয়া জীবন ধারণ করিতে পারেন, তাহাদের সাধনের পক্ষে অনেক সুবিধা হইবে । কিন্তু যাহাবা অন্যান্য দৈনিক কাজের সঙ্গে অল্পস্বল্প অভ্যাস করিতে চায়, তাহার বেশী না থাইলেই হইল । খাদ্যের প্রকার বিচার করিবার তাহদের প্রয়োজন নাই, তাহারা যাহা ইচ্ছা তাহাই থাইতে পারে। - যাহার অধিক অভ্যাস করিয়া শীঘ্র উন্নতি করিতে ইচ্ছা কবেন, তাহদের পক্ষে আহার সম্বন্ধে বিশেষ সাবধান হওয়া আবশুক । দেহযন্ত্র উত্তরোত্তর যতই স্বল্প হইতে থাকে, ততই তুমি দেখিবে যে, অতি সামান্ত অনিয়মে তোমার সমস্ত শরীরের ভিতবে গোলযোগ উপস্থিত করিয়া দিবে। যতদিন পর্য্যন্ত না মনের উপর সম্পূর্ণ অধিকার লাভ হইতেছে, ততদিন একবিন্দু আহারের নুনাধিক্যে একেবারে সমুদয় শরীর্যন্ত্রকেই অপ্রকৃতিস্থ করিয়া তুলিবে । মন সম্পূর্ণরূপে নিজের বশে আসিলে পর ধাৰা 动》