পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ २२ द्भtख 2छीं । ব্যগ্র হইয়া উঠি। আমরা সবই পারি, আমাদের সমস্তই প্রস্তুত, শুদ্ধ মাত্র বাহিরের বাধাতেই আমাদিগকে অক্ষম করিয়া রাখিয়াছে এই কথাই কেৰল অস্বাভাবিক উচ্চকণ্ঠে বলিবার চেষ্টা হয় তাহা নহে এইরূপ বিশ্বাসে কাজে প্রবৃত্ত হইবার জন্ত আমাদের লাঞ্ছিত হৃদয় উদ্দাম হইয়া উঠে । এই প্রকারে অত্যন্ত চিত্তক্ষোভের সময়েই ইতিহাসকে আমরা ভুল করিয়া পড়ি। মনে স্থির করি, যে সকল অধীন দেশ স্বাধীন হইয়াছে তাহারা বিপ্লব করিয়াছে বলিয়াই স্বাধীনতা লাভ করিয়াছে ; এই স্বাধীনতাকে হাতে পাওয়া এবং হাতে রাখার জন্ত আর কোন গুণ থাকা আবশুক কি না তাহা আমরা স্পষ্ট করিয়া ভাবিতেই চাহিন, অথবা তাড়াতাড়ি করিয়া মনে করি সে সমস্ত গুণ আমাদের আছে কিম্বা উপযুক্ত সময় উপস্থিত হইলে সেগুলি আপনিই কোনোরকম করিয়া জোগাইয়া যাইবে । এইরূপে মানুষের চিত্ত যখন অপমানে আহত হইয়া নিজের গৌরব সপ্রমাণ করিবার চেষ্টা করিতেছে, সমস্ত কঠিন বাধাকে উন্মত্তের মত একেবারে অস্বীকার করিয়া অসাধ্য চেষ্টায় আত্মহত্যা করিবার উদ্যোগ করিতেছে তখন তাহার মত মৰ্ম্মাস্তিক করুণাবহ ব্যাপার জগতে আর কি আছে ! এই প্রকার দুশ্চেষ্টা অনিবাৰ্য্য ব্যর্থতার মধ্যে লইয়া যাইবেই, তথাপি ইহাকে আমরা পরিহাস করিতে পারিব না । ইহার মধ্যে মানবপ্রকৃতির যে পরম দুঃখকর অধ্যবসায় আছে তাহ পৃথিবীর সর্বত্রই সৰ্ব্বকালেই নানা উপলক্ষ্যে নানা অসম্ভব প্রত্যাশায় অসাধ্য সাধনে বারম্বার দগ্ধপক্ষ পতঙ্গের স্তায় নিশ্চিত পরাভবের বহিশিখায় অন্ধভাবে বীপ দিয়া পড়িতেছে। o যাইহোক, যেমন করিয়াই হোক, শক্তির অভিমান আঘাত পাইয়া জাগিয়া উঠিলে সেটা জাতির পক্ষে যে অনিষ্টকর, তাহ বলা যায় না। তৰে কিনা বিরোধের ক্রুদ্ধ আৰেগের:দ্বারা আমাদের এই উদ্যম হঠাৎ