( ७२ ) গ্রী বৈষ্ণবং ত্রয়ােবিংশং চতুৰ্ব্বিংশতি শৈবকং। দশাষ্টেী শ্ৰীভাগবতং নাব্বদং পঞ্চবিংশতি। বিষ্ণুপুরাণে। ব্রাহ্মং পদ্মং বৈষ্ণবঞ্চ শৈবং ভাগবতং তথা । ইত্যাদি বচনে শ্ৰীভাগবতকে সৰ্ব্বদা পঞ্চম কবিয়া কহেন। দশম। যদি বল শ্ৰীভাগবতের শেষে অন্য পুরাণ হইতে শ্ৰীভাগবতকে প্রধান করিয়া কহি, য়াছেন। উত্তর। কেবল ভাগবতের শেষে ভাগবতকে সৰ্ব্বোত্তম করিয়া কহিয়াছেন এমত নহে বরঞ্চ প্ৰত্যেক পুরাণের শেষে ঐ রূপে সেই ২ পুৰাএকে অন্য হইতে প্রধান করিয়া কহিয়াছেন। শ্ৰীভাগবত। নিম্নগানাং যথা গঙ্গা দেবানামচুতো যথা। বৈষ্ণু বানাং যথা শস্তৃঃ পূবাণানমিদং তথা | অর্থাৎ শ্ৰীভাগবত সকল পুরাণের শ্রেষ্ঠ হয়েনি। ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্ত। প্ৰাণাধিক মৃথা বাধা কৃষ্ণস্য প্রেত্নসীয়ু চ। ঈশ্বরীয়ু যথা লক্ষ্মীঃ পণ্ডিতেষু সরস্বতী। তথা সৰ্দপুরাণেষু ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তমেব চ। অৰ্থাৎ ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্ত সকল পুরাণের শ্ৰেষ্ঠ হয়েন। এই রূপ প্ৰশংসাব দ্বারা অন্য২ পুরাণেব অপ্রাধান্য তাৎপৰ্য্য হইলে পুরাণ সকল পরস্পর অনৈক্য হইয়া কোনো পুরাণে বা প্রামাণ্য থাকে না। অতএব ইহাব তাৎপৰ্য্য প্ৰশংসামাত্র কিন্তু অন্য পুরাণের খণ্ডন তাৎপৰ্য্য নহে। অধিকন্তু এস্থলে এক জিজ্ঞাস্য এই যে যদি বেদ বেদান্ত শাস্ত্ৰ কঠিন বচন এবং দুজ্ঞেয়ত্ব প্ৰযুক্ত আপনকার মতে অবিচারণীয় হযেন তবে শ্ৰীভাগবত যাহাকে বেদ বেদান্ত হইতেও কঠিন এবং দুজ্ঞেয় দেখা যাইতেছে তেহ কিরূপে বিচারণীয হইতে পাবেন। আপনি পঞ্চম পত্রে লিখেন এই ণে ‘ত্বঞ্চ কন্দ্র মহাবাহো মোহনাৰ্থং সুবিদ্বিষাং। ইত্যাদি অনেক বচন পরে আজ্ঞপ্ত ভগবান শিব শিবােব প্রতি কহিয়াছেন। বেদ বাহ্যানি শাস্কাণি সমাগুক্তিং ময়াহনঘে ৷ ইত্যাদি অনেক বচন পদে। ব্ৰহ্মণোস্তস্য পরং ৰূপং লিপ্তকং বক্ষ্যতে ময। সর্দস্য জগতো স্প্যস্য মোহনাদ কলেী যুগে ৷ এ সকল বচন দ্বাৰা এই প্ৰতিপন্ন হইতেছে যে পূৰ্ব্ব ২ যুগে অসুদ মোহনেব নিমিত্ত ভগবান শিব নানা প্রকার পাশুপতাদি শাস্ত্ৰ কদিমাছেন এবং কলিযুগে আপনি শ্ৰীমদাচাৰ্য্য রূপে অবতীর্ণ হইয়া ভাষ্যাদি শাস্বদ্বাদ৷ ব্রহ্মেব পােবংরূপ অৰ্থাৎ আকার লিপ্তক অর্থাৎ অলীক ইহা প্ৰতিপন্ন কবিয়া জগতের আসুর স্বভাব লোক সকলকে মোহযুক্ত করিলেন। অতএব আচাৰ্য্য পর্বজ্ঞা হইলেও তাহার কৃত ভাষ্য দ্বারা ব্ৰহ্ম সুত্রের যাথার্থ আচ্ছাদিত হয়
