( ۹ (را ) নিকুলস্যাশারীরিণঃ। উপাসকানাং কায্যাৰ্থং ব্ৰহ্মণো রূপকল্পনা ৷ এ বচনের তাৎপৰ্য্য এই যে সূক্ষ্ম রূপের অর্থাৎ চিন্ময় চতুর্ভ জাদি আকাবের ধানের নিমিত্ত প্ৰতিমা করা যায় এবং পাতালমেতস্য হি পাদমূলং ইত্যাদি। ভাগবতের শ্লোক যাহাতে বিশ্বসংসারকে পরমেশ্ববোিব কল্পিত ৰূপ কহিয়াড়েন। সেই সকল শ্লোককে ইহার প্রমাণ দেন। উত্তব। আশ্চৰ্য্য এই যে আপনকার বক্তব্য হইয়াছে এই যে পাষাণাদি নিৰ্ম্মিত প্রতিমা তাহা ঈশ্ববের কল্পিত রূপ হয়। ইহাই এ বচনের তাৎপৰ্য্য। কিন্তু প্রমাণ দেন যে সমুদায় বিশ্ব পাবমেশ্বরের কল্পিত রূপ হয। অতএব আপনার বক্তব্য এক প্রকার আর প্রমাণ অন্য প্রকার হয়। কিন্তু ভাগবতের শ্লোকে বা যে তাৎপৰ্য্য তাহা যথাৰ্থ বটে আব্ৰহ্ম স্তম্বপর্যােন্ত যে বিশ্ব তাহ প্ৰপঞ্চময় কাল্পনিক হয় কেবল সদ্বীপ পরমাত্মার আশ্রয়ে সত্যের ন্যান্য অবস্থিতি করিতেছে ঐ প্ৰপঞ্চমঘ বিশ্বের মধ্যে পাষাণাদি এবং পাষাণাদি নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তি ও যে২ শব্দীবোৰ ঐ সকল মূৰ্ত্তি হয় সে সকলেই ঐ কাল্পনিক বিশ্বের অন্তর্গত হয়েন কিন্তু ঐ সকল মূৰ্ত্তি ও প্রতিমূৰ্ত্তি প্রভৃতি কালে জন্মিতেছেন এবং কালে নষ্ট হইতেছেন। ইহাব প্রমাণ ঈশোপনিষদেব ভূমিকাতে বাহুল্য রূপে পাইবেন আর এস্তলে এক জিজ্ঞাস্য এই যে চিন্ময়স্য ইত্যাদি শ্লোকের প্ৰসিদ্ধ শব্দ হইতে এই অর্থ স্পষ্টৰূপে নিষ্পন্ন হইতেছে যে জ্ঞানস্বরূপ দ্বিতীয় বচিত বিভাগ শূন্য এবং শবীব রহিত যে পৰ্ব্বব্ৰহ্ম তাহাব রূপেৰ কল্পনা উপাসকের হিতের নিমিত্ত করিয়াছেন। কিন্তু ইহাব কোন শব্দ হইতে চতু ভূ জ্যাদি আকােব আপনি প্রতিপন্ন করেন 1 বিশেষত শ্লোকোব অর্থ এই যে রূপ বাহিতেব রূপ কল্পনা সাধকের হিতের নিমিত্ত কবিযাছেন। আপনি ব্যাখ্যা করেন যে চতুর্ভ জাদি রূপেৰ ক্ষুদ্র ২ রূপ কল্পনা কবিয়াছেন। অতএব যে সকল ব্যক্তি প্ৰথম অবধি আপনকাদের মতে প্ৰবিষ্ট হইয়া পক্ষপাতে মগ্ন না হইঘা থাকে তাহার একপ সৰ্ব্বপ্ৰকাৰ বিপৰীত ব্যাখ্যাকে কর্ণেও স্থান দেয না। বাস্তবিক যে২ বচনে দ্বিভূজ চতুৰ্ভাজ শতভুজ সহস্রভুজ ইত্যাদি ৰূপেতে ব্ৰহ্মারোপে ব্ৰহ্ম করিযী কহিয়াছেন সেই সকল বচনেব সঠিত বেদান্ত সূত্রের একবাক্যত কবিধা তাবৎ ঋষিবা ও গ্ৰন্থ কর্তাব “ই সিদ্ধান্ত করেন যে সেই সকল আকাৰ কল্পনা মাত্র যাবৎ পৰ্যন্ত ব্ৰহ্ম
