পাতা:রাজা রামমোহন রায় প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( boァ ) জিজ্ঞাসা না হয় তাবৎ ঈশ্বরোদেশে ঐ কাল্পনিক ৰূপের আরাধনা করিলে চিত্তশুদ্ধি হইয়া ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসার সম্ভাবনা হয়। কিন্তু ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসা হইলে পাব কাল্পনিক রূপের উপাসনার প্রয়োজন থাকে না যেহেতু সেই ব্যক্তি সকল বিশ্বের পূজ্য হয়। ছান্দোগ্য গ্রুতি। সর্বে অস্মৈ দেবা বলিমাহরান্তি। ব্ৰহ্মনিষ্ঠাকে সকল দেবতারা পূজা কবেন। বৃহদারণ্যক । उद्य श् ग দেবীশচ নাভূত্য ঈশতে। ব্রহ্মনিষ্ঠেব বিস্ত্ৰ করিতে দেবতারাও সমর্থ হয়েন না। আর যদ্যপি ও শ্ৰীভাগবত প্ৰভৃতি গ্রন্থে সাকারকে ব্ৰহ্ম করিয়া ভূধি স্থানে কহিয়াছেন বস্তুত পৰ্য্যবসানে অধ্যাত্ম জ্ঞানকেই সৰ্ব্বত্র দৃঢ় কবিয়াছেন যেমন শ্ৰীভাগবতে ভগবান কৃষ্ণকে ব্ৰহ্মৰূপে জ্ঞান করিতে কহিয়া পরে উপদেশ কবিলেন যে কি কৃষ্ণকে কি তাবৎ চরাচরকে ব্ৰহ্মরূপে জ্ঞান করিবে অতএব আব্রহ্ম স্তম্ব পৰ্য্যস্তকে যে ব্যক্তি ব্ৰহ্মৰূপে জ্ঞান কৰে। সে কৃষ্ণের ব্ৰহ্মত্বে কেন বিপ্রতিপত্তি কবিবেক । দশমাস্কন্ধের ৮ ৫ অধ্যায্যে বসুদেবেৰ প্ৰতি কৃষ্ণেল বাক্য। অহং যুদ্যমাসাবাৰ্য্য ইমো চ দ্বারকৌকসঃ। সৰ্ব্বেহপ্যেবং যদুশ্ৰেষ্ঠ বিমুগ্যাঃ সচিবাচরং | হে যদুবংশশ্রেষ্ঠ বসুদেব আমি ও তোমরা এবং এই বলদেব আর দ্বারকাবাসি যাবৎ লোক এ সকলকে ব্ৰহ্ম কবিয়া জানা কেবল এ সকলকে ব্ৰহ্ম কবিসা শঙ্গান এমং নহে কিন্তু স্থাববিজঙ্গমের সহিত সমুদাষ জগৎকে ব্ৰহ্ম কবিঘা জান। অতএব যে ভাগবতে কৃষ্ণবি গ্রহকে ব্ৰহ্ম কহেন সেই ভাগবতে ঐ ভগবান কৃষ্ণ বিধি দিতেছেন যে যেমন আমাতে ব্ৰহ্মা দৃষ্টি কবিবে। সেই রূপ যাবৎ চৰাচৰ নাম ৰূপেতে ব্ৰহ্মদৃষ্টি কবিবে। এবং নানা প্রকার দাকিম? শিলাময প্রভৃতি প্রতিমা পূজাব বিধান ভাগবতে করিয়াছেন। কিন্তু পুনরায় ঐ ভাগবতে সিদ্ধান্ত কধেন তৃতীয় স্কন্ধে উনত্রিশ অধ্যায়ে কপিল বাকা । অচ্চদাবাচ্চ সেৎ তাবাদীশ্ববং মাং স্বকৰ্ম্মকৃৎ । যাবান্ন বেদস্তু হৃদি সৰ্ব্বভূতে ধবস্থিতং । তাবৎ পৰ্যন্ত নানাপ্রকার প্রতিমাব পূজা বিধিপূৰ্ব্বক করিবেক যাবৎ অন্তঃকৰণে না জানে যে আমি পরমেশ্বর সর্ব ভূতে অবস্থিতি কবি। অহং সৰ্ব্বেষু ভূতেষু ভূতাত্মাবস্থিতঃ সদা।। তমবজ্ঞার মাং মতাঃ কৃষ্ণতেই চাবিড়ম্বনং ! আমি সকল ভূতে আত্মাস্বৰূপ হইব। অবস্থিতি কবি তেছি এমৎকাপ আমাকে না জানিয়া মনুষ্য সকল প্ৰতিমান্তে