পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 so মখঃরাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। o উচ্চৈঃস্বরে তাহার মনোবেদন নিবেদন করিতে লাগিল । তখন মহারাণী পালকী চলা বন্ধ করিয়া সমস্ত অবস্থা শুনিয়া তাছার পিতৃভবন হইতে প্রত্যাগমনকাল পর্য্যন্ত ব্রাহ্মণকে রাজবাড়ীতে অপেক্ষ। করিতে আদেশ দিয়া পিত্রালয়ে গমন করিলেন। কিছুকাল অন্তেই মহারাণী স্বভবনে আসিয়া দরবার গৃহে বসিয়া কৰ্ম্মচারীদিগের সহ ব্রাহ্মণকে ডাকিয়া আনাইলেন । সকলে আসিলে মহারণী কৰ্ম্মচারীদিগের নিকট অবস্থা জিজ্ঞাসা করিলে তাহার। স্বকৃতকার্য্য স্থির রাখার জন্ত ব্রাহ্মণের বিরুদ্ধে বলিতে ক্রটি করিলেন না । দয়াময়ী মহারাণী কৰ্ম্মচারীদিগকে কোনও কথায় নিরস্ত করিতে না পারিয়া কহিলেন যে “এই ব্রাহ্মণের যদিচ কোনও দলীল নাই, এবং দখল ভোগেরও প্রমাণ নাই, কিন্তু কোনও রূপ সম্বন্ধ ব্যতীত ইনি রাজধানীতে একটা বঞ্চনার কার্য্যে সাত আট বৎসর কঁাদিতেন না । অতএব আমি এই দশ বিঘ ভূমি ইহঁার জীবিক নিমিত্ত দান করিতে ইচ্ছা করি। আপনার বিবেচনা করিয়া দেখিবেন যে, আমি এই সম্পত্তি, এই অট্টালিকা থাকিতেও চির দুঃখিনী। আর আমার সমস্ত সম্পত্তি, কেবল আমাকে “মা” বলিয়া ডাকে বলিয়। একজন ব্রাহ্মণ সন্তানকে ( অর্থাৎ দন্তক পুত্রকে ) দিতে পারিয়াছি। এ ব্রহ্মাণ ও পুত্রের ন্যায় আমার নিকট সামান্ত কিছু জীবিকার জন্ত প্রার্থন। করিতেছে, সে স্থলে দশ বিঘা ভূমি দান অতি সামান্ত । আমার দত্তক যে, ইহার পর এই সামান্য ভূমি হইতে ইহঁাকে বঞ্চিত করিবে এরূপ বিশ্বাস করি না।” কৰ্ম্মচারীগণ নিরুত্তর হইলেন, এবং ভূমি দানের অনুমোদন করিলেন । ব্রাহ্মণ মা মা বলিতে বলিতে পরমানন্দে গৃহ গমন করিলেন । মহারাণী গুরুতর অপরাধীর বিরুদ্ধেও ফৌজদারী করিতে অনুমতি