পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত্ন । નેને 4 দিতেন না। কার্য্যকারকগণ, তাহার অজ্ঞাতে কাহারও বিরুদ্ধে ফোজদারীতে নালীস করিলেও, তিনি জ্ঞাত হইবামাত্র প্রতিবাদীকে সাধ্যমত রক্ষা করিতেন । তাহার পতির আমলের একজন চতুর মোক্তার, কিছুদিনের জন্য তাহার প্রধান কৰ্ম্মচারীর পদে নিযুক্ত হইয়া নিরপেক্ষ, ভাবে সম্পত্তি শাসন আরম্ভ করিলেন। মহারাণীর মৃদু ব্যবহারে অনেক কৰ্ম্মচারীই প্রশ্রয় পাইয়াছিল। কিন্তু এখন, মোক্তারের নিরপক্ষপাত কাৰ্য্য তাহাদের বড়ই বিরক্তিকর হইয়া উঠিল । অবশেষে সকলে গুপ্ত পরামর্শ করিয়া মোক্তারের পূর্ব পদের আয় ব্যয়ের, নিকাশের জন্ত মহারাণীর নিকট প্রার্থনা জানাইল । তিনিও তাহাতে সম্মতি প্রদান করিলেন । মোক্তার যদিচ এখন প্রধান কৰ্ম্মকৰ্ত্ত হইয়া দ্যায়বাদী হইয়াছেন, কিন্তু তাহার পূর্ব পদের কাৰ্য্যে যতদুর সাধ্য মোক্তারী হাত চালাইতে ক্রটি করেন নাই । তিনি নিকাশে অন্যান্য বিষয়ে বিস্তর টাকার জন্য দায়ী হইলেন । তাহার মধ্যে বর্ষে বর্ষে কোম্পানীর কাগজের সুদ যাহা রাজসাহী কালেক্টরি হইতে লইতেন, তাহার অনেক টাকা হিসাবে জমা দিয়াছিলেন না । অন্যান্য কৰ্ম্মচারীগণ, মোক্তারের বিশ্বাসঘাতকতা প্রমাণের এই সুযোগ পাইয়া যে যে তারিখে সুদ খরচ পড়িয়াছে, কালেক্টরী হইতে সেই সেই তারিখের খরচ বহির জাবেদা নকল লইবার দরখাস্ত করিলেন । মোক্তার অতি সুচতুর, তিনি অন্যান্য কৰ্ম্মচারীর অভিসন্ধি বুঝিয়াই কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া আপনার বিপদ উদ্ধারের চেষ্টায় প্রবৃত্ত হইলেন । পরে প্রকাশ হইল যে, কালেক্টরির সেই সেই সময়ের খরচ বহি অন্তসন্ধানে পাওয়া যাইতেছে না। কালেক্টর সাহেব এই ঘটনা জ্ঞাত হইয়া বহি বাহির জন্য কৰ্ম্মচারীদিগের প্রতি বিশেষ শাসন আরম্ভ করিলেন ।