পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዋEዎ মহারাণী শরৎকুন্দরীর জীবন-চরিত। কাশীতে প্রত্যাগত হইয়া ভৈরবনাথ ক্রমে পীড়িত হইয়। পড়িলেন। তজন্ত তিনি, কাশীবাস মনন করিয়া শরৎসুন্দরীকে পুঠিয়া আসিবার নিমিত্ত অনুরোধ করিতে লাগিলেন । কিন্তু শরৎসুন্দরী তাহাতে সম্মত। হইলেন না । তিনি পতি দেবতার আসন্নকালে শুশ্ৰষা করিতে পারিয়া ছিলেন না, বলিয়া সেই অনুতাপে সৰ্ব্বদা দগ্ধ হইতেছেন, অতএব অসময়ে পিতার নিকট হইতে চলিয়া গেলে পিতার অন্তিমকালে সেবা করিতে পারিবেন না আশঙ্কাতেই, তিনি পুঠিয়া গমনে স্বীকৃত। হইলেন না। একান্ত মনে পিতার চরণোপাস্তে বসিয়া স্বহস্তে র্তাহীর সেবা করিতে লাগিলেন । ১২৭৩ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে ভৈরবনাথ, স্নেহময়ী কন্যার ক্রোড়ে জীবনের শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কাশীলাভ করিলেন । - এই সময়ে শরৎসুন্দরী, প্রকৃত প্রস্তাবে অভিভাবকহীন হইলেন । পতির সম্পত্তি ব্যতীত পিতার সম্পত্তি এবং মাতা ও বালিক ভগ্নীর রক্ষণাবেক্ষণের ভার পর্য্যন্ত র্তাহার উপরেই নিক্ষিপ্ত হইল । অল্প বয়সে র্তাহার প্রতি এইরূপ গুরু ভার পতিত হইলেও, তিনি স্বতী ক্ষু বুদ্ধিবলে অতি সাবধানে সকলকার্য্যই সুচারুরূপে নিৰ্ব্বাহ করিতে লাগিলেন। অথচ আপনি সৰ্ব্বপ্রকার সুখ হইতে দূরে থাকিয় কেবল শত শত কঠোর ব্রত নিয়ম এবং নানাপ্রকার সংকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান দ্বারা তাত্মার পবিত্রত। লাভ করিতে লাগিলেন। আতিথ্য, দৈবকার্য্য, পিতৃকাৰ্য্য, দান, পীড়িতের চিকিৎসা, দরিদ্রের সাধ্যমত অভাব মোচন করিয়া অল্পদিনের মধ্যে র্তাহার নাম প্রাতঃস্মরণীয়া হইয়া উঠিল । যোগেন্দ্রনারায়ণের সময় হইতে প্রবল ওয়াটসন কোম্পানী ও অন্তান্ত সরিকের সঙ্গে যে সকল বিবাদ চলিতেছিল, তাহা যতদূর সাধ্য সহজে মীমাংসা করিলেন। যাহা নিতান্ত ক্ষতিকর, অথচ সাহেবেরা স্বার্থ