পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১০২ ] নেশার দ্বারা মন যত দুৰ্ব্বল হয়, ততই মাদক দ্রব্যের মাত্রা না বাড়াইলে আর চলে না, সুতরাং ক্রমেই নেশা বাড়িয়া যায়। মনকে প্রকৃতিস্থ করা ধ্যানের উদ্দেশ্য, বিকৃত করা কৰ্ত্তব্য নহে। এই জন্য সাধনায় প্রবৃত্ত হইবার সময় নেথাদি রুত্তিম উপায় অবলম্বন না করিয়৷ বিবেকাবলম্বন করা বিধেয় । মনে সৰ্ব্বদা বিচার ভাব রাখিয়া ইষ্টের দিকে মন সংগ্রহ করা সাধকের প্রথম সাধনা, তাহ সংসারেই আরম্ভ হইয়া থাকে, সুতরাং এইরূপ ধ্যান মনে সাধন করিতে হয়, তজ্জন্য রামকৃষ্ণদেব মনে শব্দ প্রয়োগ করিয়া গিয়াছেন । ধ্যান করিবে মনে, কোণে, বনে বলিলে সাধনের ত্ৰিবিধ অবস্থার ভাব জ্ঞাত হওয়া ষায় । যথা সাধন প্রবর্ত, সাধক, এবং সিদ্ধ। সাধন প্রবৰ্ত্তের প্রথম সাধনার স্থান মনে, সাধনা আরম্ভ করিলে কোণে, যখন ধ্যান করিবার সময় বাস্তবিক চিত্তস্থির হইবার উপক্রম হয়, সেই সময়ে বনে গমন করিয়! ধ্যান সিদ্ধ হইবার প্রয়াস পাইলে সিদ্ধ মনোরথ হইবার সম্ভাবনা । কোণে এবং মনের দ্বিতীয় ভাবে সাংসারিক নরনারীদিগকে ও বুঝ যায়। র্তাহাদের মনের অবস্থা সম্বন্ধে পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, নানাবিধ সংস্কার দ্বার। তাহ। এপ্রকার কলুষিত হয় যে, তারা ভগবানের চিন্তাকাৰ্য্য সমাধা করা প্রায় দুঃসাধ্যজনক হইয় থাকে। কিন্তু যে নরনারীদিগের বিশেষ বলক্ষয় হইবার পূৰ্ব্বে সংযোগবিহীন হয়, তাহাদের পক্ষে সময়ে ধ্যানের ব্যবস্থা হইতে পারে এবং এই প্রকার সাংসারিক নরনারীদিগের সাধনের স্থান কোণে। সংযোগবিহীন নরনারী বলিলে যে পুরুষের স্ত্রী নাই এবং যে স্ত্রীর স্বামী নাই বুঝায়। স্বামী লী বিবর্জিত নরনারীরা পিতা মাত এবং পুত্র কন্যাদির ভারগ্রস্ত হইয়। সংসারে অবস্থিতি করিয়া থাকে। যদিও ইহাদের মন নানাভাবে