পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১২৫ ] অধিকার হয়, তাহা হইলে প্রত্যেক ব্রাহ্মণেরই সাধনা করিবার শক্তি লাভ হইত। কিন্তু কাৰ্য্যক্ষেত্রে তাহার বিপরীত ফল দেখা যাইতেছে। ব্রাহ্মণকুলোদ্ভব হইলে বর্ণবিশেষ ব্রাহ্মণ হওয়া যায় বটে, ব্রাহ্মণকুলোস্তব হইলে সামাজিক কার্য্যবিশেষে সময়ে সময়ে দক্ষত হয় বটে, ব্রাহ্মণকুলোদ্ভব হইলে কাৰ্য্যবিশেষে অধিকার হয় বটে কিন্তু ব্রাহ্মণকুলোদ্ভব ত ইলেই ঈশ্বর সাধনের অধিকারী হইতে পারেন না। এ কথা আকুমানিক নহে, তাহা প্রত্যক্ষ । রামকৃষ্ণদেব বলিতেন যে, ব্রাহ্মণের পুত্র যবন, ব্রাহ্মণের পুত্র মেচ্ছ, ব্রাহ্মণের পুত্র শূদ্র । ব্রাহ্মণের কোন পুত্র ঠাকুর পূজা করিতে পারেন, কোন পুত্র চণ্ডী পাঠের উপযুক্ত হইতে পারেন, কোন পুত্ৰ বেদপারগ হইতে পারেন, কোন পুত্র দশ কৰ্ম্মান্বিত হইতে পারেন, আবার কোন পুত্র পুরাণাদি পাঠ করিতে পারেন, আবার কোন পুত্র জুতার দোকান করেন এবং কোন পুত্র ভাত রণধেন। কুল হিসাবে সকলেই ব্রাহ্মণ, তদ্বিষয়ে কাহারও দ্বিরুক্তি করিবার অধিকার নাই, কিন্তু ভূদেব ব্রাহ্মণ বলিয়া সমুদায় ব্রাহ্মণের শক্তি এক প্রকার নহে । সমুদয় ব্রাহ্মণ দ্বারা এক জাতীয় কার্য্য সাধন হইতে পারে না । এই জন্য বিশুদ্ধ ব্রাহ্মণ হইতে চণ্ডাল ব্রাহ্মণ পৰ্য্যন্ত নানাবিধ ব্রাহ্মণের উল্লেখ দেখা যায় । আমাদের দেশে ব্রাহ্মণের যেরূপ চিন্তাশীল ছিলেন, এক্ষণে আর সেরূপ প্রায় নাই । যাহারা আছেন, তাহাদিগকে আর সমাজে দেখ যায় না। অতএব তাহাদের কথা গণনার বিষয় নহে। পূৰ্ব্বকালের ব্রাহ্মণদিগের ন্যায় বর্তমানকালে অন্যান্য জাতীর মধ্যে প্রচুর চিন্তাশীল ব্যক্তি জন্মিয়াছেন, যাহাদের মস্তিষ্ককুসুম লইয়া সমগ্র পৃথিবীর সুখ স্বচ্ছন্দত বৰ্দ্ধিত এবং সংরক্ষিত হইতেছে । আধ্যাত্মিক জগতের ব্যাপার স্বয়ং ভগবানের দ্বারাই প্রকটিত হয়, সুতরাং সে বিষয়ে