পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ > 4o | অট্টালিকা নিৰ্ম্মান করা যায় না, সেইরূপ কামিনী প্রসঙ্গে ভঙ্গ দিয়া সাধনার অধিকারী নিরূপণ করিতে যাওয়া বিড়ম্বন মাত্র । সে যাহা হউক, এক্ষণে স্থির করিতে হইবে যে, শুক্র ক্ষয়ের দ্বারা কিরূপে সঙ্কল্পের বৃদ্ধি এবং অহঙ্কার হ্রাস হয় । বলা হইয়াছে যে, সঙ্কল্পের দ্বারা ইন্দ্রিয়াসক্ত হইতে হয়, একথায় আর সন্দেহ নাই এবং শুক্র বহির্গমনের দ্বারা আত্মার অংশবিশেষ শরীর হইতে সঙ্কল্প স্থত্রেই বহির্গত হইয়া যায়। যাহারা কিছুদিন কামিনী সম্ভোগাদি দ্বারা সঙ্কল্পের পর্য্যবসান করিয়া মনে করেন, এইবার সাধনা করিব, তাহাতে র্তাহাদের আত্মপ্রতারণা হইয়া থাকে। যদিও সাক্ষাৎ সম্বন্ধে সঙ্কল্পের বিরাম হয় বটে কিন্তু শুক্র ক্ষয়ের দ্বারা যে সংখ্যাতীত অহঙ্কার বা আত্মার অংশ বাহির হইয়া গিয়াছে, সেদিকে দৃষ্টি রাখেন কে ? কথিত হইয়াছে যে, প্রত্যেক নরনারী সঙ্কল্পের আবরণে কাৰ্য্যক্ষেত্রে জৈবলীল। সম্পাদন করিতেছেন। যতদিন জৈবলীলার সঙ্কল্প বাড়িবে, তত দিন স্বস্বরূপে গমন অথবা তদবস্থা লাভ হইতে পারে না । কামিনীর দ্বারা সেই সঙ্কল্পের বৃদ্ধি হয়, অতএব সাধনের অধিকারী হইতে হইলে সঙ্কল্প রঙ্গভূমির যবনিক নিপতিত করিতে হইবে। এই স্থানে আর একটা কথা জিজ্ঞাস্য হইতে পারে। বলা হইয়াছে যে, শুক্রে অসীম চৈতন্যবিশিষ্ট কীট বহির্গত হয় এবং ইহাদের দ্বার জীব জন্মিয় থাকে। শুক্রের মধ্যে এই কীটেরাই বাস্তবিক সস্তানোৎপাদনের নিদান। তদ্বিষয়ে কোন কথা নাই। শুক্র দ্বারা আত্মা দেহ ধারণ করেন। শুক্ররূপী আত্মা সৰ্ব্ব সময়ে দেহ লাভ করিতেও পারেন না। তাহার হেতু এই, যেমন বীচ মৃত্তিক ব্যতীত বৃক্ষে পরিণত হয় না। তেমনি জরায়ুস্থিত ডিম্ববত স্থান না পাইলে শুক্রস্থিত আত্মা