পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3b"ని ) হইবার উপায় হয়। ফুসফুসে বায়ু প্রবেশ করিতে না পাইলে বিকৃত শোণিত কর্তৃক শারীরিক কাৰ্য্য একেবারে স্থগিত হইয়া আইসে । এই নিমিত্ত আত্মার স্বাতন্ত্র্য স্বীকার না করিয়া শরীরকে স্বাভাবিক ঘটনাপ্রস্তত পদার্থবিশেষ বলিয়া স্থলবাদীরা সাব্যস্ত করিয়া থাকেন। বায়ুর অভাবজনিত মৃত্যু হওয়া প্রকৃত ঘটনা। পূৰ্ব্বে অনেক স্থানে বলিয়াছি যে, বায়ুর অকৃসিজেনই জীবনের নিদানস্বরূপ । যখন বায়ুর অকসিজেনের পরিমাণ কমিয়া আইসে, জীবগণ তখন তাহাতে জীবিত থাকিতে পারে না। সিরাজুদ্দৌলার রাজত্বকালে ইংরাজদিগকে অন্ধকূপে আবদ্ধ করিয়া যে হত্যাকাণ্ড সমাধা হইয়াছিল, বায়ুর অক্সিজেনের ভাবই তাহার কারণ। যে স্থানে অনেক লোকসমাগম হয়, সে স্থানে আমরা অনেক সময় শ্বাসক্লেশ অনুভব করিয়া থাকি । অনেক সময়ে অনেকে মূৰ্ছিত হইয়াও পড়েন। এই সকল দৃষ্টান্ত দেখিলে বায়ুকেই জীবজীবনের কারণ বলিতে হয়। বায়ুর দ্বারা যদ্যপি মরিতে বাচিতে হয়, তাহ হইলে আত্মা স্বীকার করিবার হেতু কি ? আর একপক্ষ হইতে শুনিতে পাওয়া যায় যে, বায়ুতে যদিও জীবজীবন রক্ষা হয় বটে, কিন্তু যে সময়ে সস্তান মাতৃগর্ভে থাকে, সে সময়ে তাহার সহিত বায়ুর কোন প্রকার সাক্ষাৎ সম্বন্ধ দেখা যায় না। মাতৃগর্ভস্থিত সস্তান মাতৃশোণিত দ্বারা পুষ্টিলাভ করিয়া জীবিত থাকে। ভূমিষ্ট হইবার পর যদ্যপি নাড়ি ছেদন করিবার পূৰ্ব্বে সন্তানের দিকে বন্ধন না দেওয়া যায়, তাহা হইলে শোণিতস্রাব দ্বারা সস্তান মরিয়া যাইতে পারে। ভূমিষ্ট হইবার পরে সস্তান স্তনপান না করিলে অথবা দুগ্ধাদি পান না করাইলে বঁাচে না । স্তন্যদুগ্ধই হউক, কিম্বা গাধার দুগ্ধই হউক, অথবা গোদুগ্ধই হউক, তাহ শোণিতের অবস্থান্তর মাত্র। সস্তান