পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২e১ ] ঘটিত অঙ্গারের যৌগিকবৃন্দ দ্বারা শরীর বলাধান লাভ করে। যদ্যপি হাইড্রোসিয়ানিক অ্যাসিড প্রয়োগ করা যায়, তাহা হইলে শরীরের বলাধান হওয়া দুরে থাকুক, তাহার পঞ্চস্থলাভ হইবে। স্বজাতীয় পদার্থ সকল যেমন শরীরে বলবিধান করিয়া তাহাকে কাৰ্য্যক্ষম করিয়া থাকে, স্বজাতীয় আত্মা সকলও সেইরূপে দেহবিশেষে ক্রমে ক্রমে প্রবেশ করিয়া থাকে এবং তদ্বারা সঙ্কল্পিত কাৰ্য্য সাধন পূৰ্ব্বক ফলাফল ভোগ করিয়া থাকে। দৈহিক পদার্থ সকল বিজ্ঞান শাস্ত্ৰমতে রূড় পদার্থের যৌগিকবিশেষ। এই যৌগিকসমূহ অবস্থাবিশেষে তদবস্থায় থাকিয়া পুনরায় দেহে প্রবেশ করে এবং অবস্থা বা সঙ্কল্পবিশেষে উহারা যোগভ্ৰষ্ট হইয়া রূঢ়াবস্থা লাভ করিয়া কিয়ৎকাল স্বতন্ত্রভাবে থাকিতে পারে । সেইরূপ আত্মা সঙ্কল্পের দ্বারা দেহবিশেষে প্রবেশ করে, এবং সঙ্কল্পের হ্রাস হইলে মুক্তাবস্থায় পরমাত্মাতে বিলীন হইয়া যায়। অতএব সঙ্কমই আত্মার বদ্ধ এবং মুক্তির কারণ। আত্মাসম্বন্ধে যাহা কথিত হইল, তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে, আত্মী শরীর হইতে বাহির হইয়া কখন তৎক্ষণাৎ কোন দেহে প্রবেশ করেন, কখন ব! কিয়ৎকাল কোন দেহাশ্রয় করেন না। যেমন কোন রূঢ় পদার্থ যোগভ্রষ্ট হইবার সময় স্বসম্বন্ধীয় পদার্থ প্রাপ্ত হইলে তৎক্ষণাৎ যোগিকাবস্থায় গমন করে এবং কখন মুক্তভাবেই থাকিয়া যায়, আত্মা সম্বন্ধেও তেমনি বুঝিতে হইবে। আত্মা বিষয়টা অতিশয় কঠিন এবং নীরস । আমি নিতান্ত অনিচ্ছার বশবত্তী হইয়া এই প্রস্তাবটা লইয়া আলোচনা করিতে আসিয়াছি। এক সময়ে আমি আত্মার অস্তিত্ব লইয়া অনেক আন্দে|লন করিয়াছি, কিন্তু ইহা বিচার দ্বারা কস্মিনকালে মীমাংসা করা যায় না । যখন যাহার সময় হয়, তখন তাহার চক্ষের সম্মুখে আত্মা প্রতীয়