পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २.8० ] ভাবে পুত্রের সেবা করিয়া আশ্রম ধৰ্ম্ম প্রতিপালন করিতেন এবং মনে মনে গোপাল ভাব সঞ্চয় করিয়া লইতেন। আপন পুত্রকে প্রতিপালন করিয়া সময়বিশেষে উহা দ্বারা বাৎসল্য ভাবে ভগবান লাভ ঘটিয়া যাইত। একদা প্রভু কোন হিন্দুমহিলাকে এইরূপ উপদেশ দিয়া কহিয়াছিলেন যে, বাছা ! তুমি ভালবাস কাহাকে ? তিনি বলিলেন যে, আমার একটা ভ্রাতুষ্প ত্রকে আমি মানুষ করিয়াছি,পৃথিবীতে তাহাকেই প্রাণের রত্ন বলিয়া জানি । ঠাকুর তাহাকে বলিয়াছিলেন যে, দেখ বেশি কিছু করিতে হইবে না।. তাহাকে যেমন খাওয়াও, পরাও, তেমনি করিও, মনে মনে আমার ভ্রাতুষ্প ত্র এমন ভাব না রাখিয়৷ গোপাল ভাব রাখিও, তোমার গোপাল লাভ হইবে । বৰ্ত্তমান কালের অবল প্রভুর নিকটে বলিয়া অনেক কষ্টে ভাবটী ধারণা করিতে পারিলেন এবং পরদিন গোপাল ভাবে উহাকে দেখিবামাত্র তাহার বাৎসল্য-মহাভাব উদয় হইয়া গেল । পিতা, ভ্রাতা, স্ত্রী প্রভৃতি সকলেরই স্ব স্ব প্রেম শিক্ষার সুবিধার স্থল বলিয়া সংসার প্রেমের আলয় বলিয়। কথিত হইত। বৰ্ত্তমান কালের সংসারে প্রেম নাই । বলিয়াছি কাম আসিয়া প্রেমকে স্থানভ্রষ্ট করিয়া আধিপত্য স্থাপন করিয়াছে। কামের দ্বারা আমরা পরিচালিত হই বলিয়। আমাদের সকল কার্য্যেই তাহার সম্বন্ধ দেখা যায়। ঐহিক স্বার্থ ভিন্ন আমরা একপদ অগ্রসর হইতে চাহি না, ঐহিকের স্বার্থ ব্যতীত কাহারও সহিত আলাপ করিতে চাহি ন । কেহ আলাপ করিতে আসিলে আপনার এবং তাহার স্বার্থ খুজিয়া বাহির করিতে চেষ্টা করিয়া থাকি। এই প্রসঙ্গে আমার একটী ঘটনা মনে হইল। কয়েক বৎসর অতীত হইল, আমাদের বর্তমানকালের অধিক মূল্যে