পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৫১ ] এইরূপ নানাপ্রকার উপদেশে তিনি বলিয়াছেন যে, সংসারে আধ্যাত্মিক উন্নতি করা যায়। সুতরাং ইহা কৰ্ম্মের স্থান । সংসারাশ্রম হইতে কৰ্ম্মের দ্বারা সঙ্কল্প ক্ষয় করিতে পারিলে তাহার তৃতীয়াদি আশ্রমের অধিকার জন্মায়। যেমন প্রৌঢ়াবস্থায় উপনীত হইতে হইলে যৌবনাদি কালত্রয় অতিক্রম করিয়া যাইতে হয় ; বাল্যাবস্থার পর প্রৌঢ়াবস্থা হইতে পারে না, তেমনি সংসারাশ্রম অতিক্রম করিয়া সন্ন্যাসী হওয়া যায় না । এইরূপ নানা কারণে সংসারাশ্রমকে সকল আশ্রমের শ্রেষ্ঠ বলিয় কেহ কেহ উল্লেখ করেন । কিন্তু শ্রেষ্ঠ শব্দ প্রয়োগ করা যুক্তিসঙ্গত কথা নহে। কারণ, আশ্রমের ইতরবিশেষ করা যায় না। আমরা সময়ে সময়ে অনেককে গৃহী না হইয়া সন্ন্যাসী হইতে দেখিয়া থাকি। এরূপ আশ্রমান্তরের ভাব হইবার হেতু কি ? যে সকল আত্মা সংসারে থাকিয় কৰ্ম্ম দ্বার সঙ্কল্প ক্ষয় করেন, পরজন্মে তাহাদের আশ্রমের পরিবর্তন হইয়া থাকে । এই কথার দ্বার কেহ এরূপ মনে না করেন যে, প্রত্যেককে এই নিয়মে পরিচালিত হইতে হইবে । আশ্রমধৰ্ম্মের দ্বার কৰ্ম্মক্ষয় করিতে পারিলে সংসারাশ্রমেই তাহার মুক্তি লাভ হইতে পারে। যদিও সংসারাশ্রম শব্দ ব্যবহৃত হইল, কিন্তু তদ্বারা আশ্ৰমধৰ্ম্ম বিশেষ নির্দেশ করিতেছি না । বলিয়াছি যে, আশ্রমবিশেষ কাৰ্য্যবিশেষের লক্ষণ মাত্র । সংসারাশ্রম বলিলে কামিনীকাঞ্চন সম্ভোগের দ্বার সঙ্কল্পবিবর্জিত হইয়। ভগবান সাধনার স্পৃহা জন্মান পৰ্য্যন্ত সংসারাশ্রম কহে, সাধনা করা বানপ্রস্থাশ্রমের উদ্দেশু। যদ্যপি সংসারাশ্রমে তাহ প্রতিপালন করা যায়, তাহ হইলে আপত্তির হেতু হইতে পারেন, কিন্তু কার্য্যে তাহা ঘটিয়া উঠা নিতান্ত অসম্ভব। এই নিমিত্ত সংসারাশ্রমে থাকিলে নরনারী সকল আত্মকল্যাণকামনা বিস্মৃত হইয়া সাংসারিক