পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ سواكاد ]

বিশেষে কাৰ্য্য করিয়া যান। এ প্রকার ঘটনা বোধ হয় প্রত্যেকের প্রত্যহই ঘটিয়া থাকে । আমাদের দেশের ধৰ্ম্ম প্রচারকগণ যে যে সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্ম প্রচার করেন, তাহারা পরস্পরকে বিদ্বেষ করায় সকলে র্তাহাদের কথায় আস্থা স্থাপন করিতে পারেন না । সুতরাং, ঈশ্বর সম্বন্ধে যখন প্রকৃত জ্ঞান লাভের উপায় অপ্রতুল, তখন তাহাকে লাভ করা যায়, এ কথা বলিলে বাস্তবিক কাহার বিশ্বাস হইবে ? এ সকল কারণে সকলেই নাস্তিকতার দিকে গমন করিতে বাধ্য হইয়া থাকেন । ঈশ্বর সম্বন্ধে যদিও অনেকের বিশ্বাস আছে বটে, কিন্তু তাহাকে লাভ করা কাহারও উদ্দেশু নহে। কিরূপে ধনৈশ্বর্য্যের অধিপতি হওয়া যায়, কোন দেবতাকে সন্তুষ্ট করিতে পারিলে গণ্যমান্ত হওয়া যায়, কোন দেবীর প্রসন্নতায় সস্তান-রত্বের মুখাবলোকন করা যায়, কোন দেবতার অর্চনা করিলে রোগোন্মুক্ত হওয়া যায়, কোন দেবীকে জোড়া মেষ মহিষ দ্বারা পূজা করিলে মোকদ্দমায় জয়ী হওয়া যায়—এইরূপ কার্য্যেরই প্রবাহ চলিতেছে। ভগবান লাভ করিয়া তাহার প্রেমময় কাস্তি দর্শন পূৰ্ব্বক মানবজন্মের সার্থকতা সম্পাদন করিতে কয় জন লালায়িত হইয়া থাকেন ? সুতরাং, কাৰ্য্যক্ষেত্রে ঈশ্বর লাভ করিবার উপায় সম্বন্ধে কোন কথা বা দৃষ্টান্ত যারপরনাই অপ্রতুল।

বর্তমান কালে ঈশ্বর বিশ্বাস না করাই সভ্যতার লক্ষণ বলিয়া অনেক স্থলে বিবেচিত হইয়া থাকে এবং যে স্থানে বিশ্বাস আছে, সে স্থানে নিজ নিজ রুচি, ইচ্ছা, এবং সখ—সঙ্গত না হইলে সে ঈশ্বর ঈশ্বর বলিয়া গ্রাহ্য হইতে পারেন না । এই সকল ভাবের তাৎপৰ্য্য বাহির করিলে এক কথায় এই বলা যায় যে, আমাদের যেমন ইচ্ছ, ঈশ্বরকে তেমনি হইতে হইবে । ঈশ্বরের স্বরূপের নিয়মামুযায়ী আমরা পরিচালিত হইতে বাধ্য হইতে চাহি না । সে যাহা হউক, ঈশ্বর লাভ