পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৫৩ ] ভ্রম প্রদর্শন করায় কহিলেন, “উহাতে আর কি দোষ হইয়াছে ? মন্ত্র পাঠে মদ্যপি ব্যাকরণের ভুল হইত, তাহা হইলে দোষ স্বীকার করিতাম।” প্রণব সংযোগে মন্ত্র পাঠ করিবার দ্বিজ ব্যতীত অন্যের অধিকার নাই, ইহা সমাজিক ব্যক্তিমাত্রে জানেন । তিনি কি হিসাবে তাহা উল্লঙ্ঘন করিলেন, এই কথা জিজ্ঞাসা করায় ব্রাহ্মণ ক্রুদ্ধ হইয়। কহিলেন যে,“সামাজিক কাৰ্য্যে পটু ব্রাহ্মণের। সকলেই মূখ শুদ্ধাগুদ্ধের কোন সংশ্রব তাহারা রাখেন না ।” এই নিমিত্ত প্রভু বলিতেন যে, চিকিৎসকেরা যেমন কিছু ঔষধ সেবন এবং কিছু মালিশ করিতে দেয়, তেমনি শিক্ষা এবং কার্য্য উভয়েরই প্রয়োজন । কোন দেশে গমন করিতে হইলে তথায় যাইবার পথ এবং পথের কোথায় কিরূপ অবস্থা বিশেষ তদন্ত করিয়া না লইলে বাস্তবিক পথিকের ক্লেশ হইবার সম্ভাবনা। ধৰ্ম্মপথে পরিভ্রমণ করিবার পূৰ্ব্বে ধৰ্ম্মের মৰ্ম্ম জ্ঞাত না হইয়া যে ব্যক্তি কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হন, অথবা কাৰ্য্য ত্যাগ করিয়া কেবল মৰ্ম্ম নিরূপণ করিয়া বেড়ান, উভয়স্থলেই বিড়ম্বন৷ সংঘটিত হইয়া থাকে। ধৰ্ম্মরাজ্যের ইতিহাস পাঠ করিলে দেখা যায় যে, অতি পুরাকাল হইতে বৰ্ত্তমান কালপর্য্যন্ত যেস্থানে যে কোন ধৰ্ম্মভাব প্রফুষ্টত হইয়াছে, তথায় রামকৃষ্ণদেবকথিত “অদ্বৈত জ্ঞান আঁচলে বেঁধে যা ইচ্ছা তাই কর” এরূপ উপদেশ এবং তদনুরূপ কাৰ্য্য করিতে কেহ আদেশ করেন নাই এবং কেহ নিজেও তাহ কাৰ্য্য করিয়া দেখেন নাই, বা দেখান নাই, সুতরাং, এরূপ ভাবের কার্য্যেরও কখন স্বচনা হয় নাই । আমার এই কথা শ্রবণ করিয়া অনেকে চমকিত হইয়া বলিতে পারেন যে, অদ্বৈত জ্ঞানের নিমিত্তই ভারতবর্ষ চিরবিখ্যাত। বেদান্তাজি