পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ دول ع ] কহিয়াছেন যে, বিশ্বপতির তত্ত্ব জানিতে হইলে তাহাকেই জিজ্ঞাসা করিতে হইবে। তিনি এই স্থানে দৃষ্টান্ত দ্বারা বুঝাইতেন, যেমন কাহার কত সম্পত্তি আছে, বাহিরের লোকের অামুমাণিক সিদ্ধান্তের দ্বারা কখন স্থির হইতে পারে না। সেই ব্যক্তি যদ্যপি কাহাকে সিন্দুক খুলিয়া দেখাইয়া দেয়, তাহা হইলে প্রকৃত সমাচার পাওয়া যাইতে পারে। ভগবান সম্বন্ধে সে প্রকার কার্য্য কিরূপে হইবে ? যদ্যপি কালীদাসকে কবিকুলচূড়ামণি বলিবার হেতু অন্বেষণ করিতে হয়, তাহা হইলে তাহার কার্য্য অর্থাৎ গ্রন্থাদি দেখিতে হয় । মহাপ্ৰভু অবতারবিশেষ কেন ? তিনি অবতার, যেহেতু, তাহার কার্য্যকলাপে অমানুষশক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। ফলে, কার্য্য দেখিয় কৰ্ত্তার শক্তি বা গুণ প্রকাশ পায়। জ্ঞান লাভ করিতে হইলে বিশ্বরচনা পর্য্যালোচনা করাই কৰ্ত্তব্য । বিশ্বসংসারে স্থলে সমুদয় পদার্থই বহুভাবের পরিচায়ক। কিন্তু স্কুল ভাব হইতে অস্তদৃষ্টির দ্বার। উহাদের আভ্যন্তরিক গঠনাদি নিরীক্ষণ করিলে এক পদার্থ ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন পদার্থরূপে প্রকাশিত হয়। হীরক, গ্র্যাফাইট, কয়লা, কাষ্ঠ, জীব, জন্তু, বৃক্ষ, লতা, ফল, মূল প্রভৃতি অসংখ্য প্রকার স্বতন্ত্র পদার্থ হইতে অস্তদৃষ্টিযোগে অতি সুন্দর অদ্বৈতজ্ঞান লাভ করা যায়। অর্থাৎ এই বহু বিচিত্র আকৃতি, প্রকৃতি ও ব্যবহারের পদার্থনিচয়ে এক অদ্বিতীয় অঙ্গার বিরাজ করে ! হীরকে অঙ্গার, একথা প্রক্রিয়াশীল বৈজ্ঞানিক ব্যতীত কাহাকেও কি বুঝান যায় ? পাধিব পদার্থের মধ্যে হীরক অপেক্ষ মহামূল্যের বস্তু আর দ্বিতীয় নাই, ইহা রাজরাজেশ্বরের শিরোদেশে স্থান পায়। ইহা অঙ্গার । কয়লা ! ! যে হীরকের মূল্যের কথা শ্রবণ করিলে অমূল্য বলিয়া যাহাকে স্বীকার করা হয়, তাহাকে কয়লা বলা হয় কেন ? একদ