পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৬ ] মাণে তাহার পূর্বদিক পশ্চাৎ পড়িয়া যাইবে । যাহার মন হইতে যে পরিমাণে রজঃ তমোভাব বহির্গত হইয়া যাইবে, অথবা প্রবেশ করিতে ন! পরিবে, তাহার মনে সেই পরিমাণে সত্ত্বগুণ ধারণ করিবার স্থান হইবে । এই নিমিত্ত আর্য্যের বাল্যকালে রজঃ তমোভাব হইতে রক্ষা পাইবার নিমিত্ত আচার্য্যাশ্রমে অবস্থিতি করিতেন । নিঃসঙ্গ হইতে পারিলে কথাই নাই, কিন্তু তাহ। ঘটয় উঠ। বাস্তবিক অসম্ভব। কিন্তু প্রথমাবস্থায় সমভাবা লম্বীদিগের সহিত সঙ্গ করিলে অকল্যাণ অপেক্ষ উপকার হইবার সম্ভাবন । যাহারা সত্ত্বগুণের আশ্রয় লইয়াছেন, তাহদের উদ্দেশ্য এক প্রকার, সুতরাং কাৰ্য্যও এক প্রকার হইয় থাকে। সাংসারিক সঙ্গীদিগের উদ্দেশ্য স্বতন্ত্র প্রকার, সুতরাং কার্য্য ও স্বতন্ত্র প্রকার । যাহারা সাংসারিক সম্বন্ধে অবস্তিতি করিয়া সত্ত্ব গুণ আশ্রয় করিতে চাহেন, তাহরা সকলের বিরাগ ভাজন হইয় থাকেন। সাংসারিক বন্ধুবান্ধবের আপনভাবে টানিতে থাকেন, আপনভাবে শিক্ষিত করিতে চাহেন, আপন ভাবে জীবন সংগঠন করিতে প্রবৃত্তি জন্মাইবার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করিয়া থাকেন ; সাংসারিক বন্ধুদিগের উদ্দেশ্য রজঃ তমোভাব, সত্ত্ব গুণকে স্থান দিবেন কেন ? তাহারা তমো গুণে আত্মহারা হইয়। প্রতি পদে পদে যে ভ্ৰমে পতিত হইতেছেন, তাহ গুণের ঘোরে তাহাদিগকে বুঝিতে দেয় না, দেখিতে দেয় না, সুতরাং মহাদের অগোচরে আত্মছলনা ব্যতীত আর কিছুই হয় না, তজষ্ঠ সত্বের মোহনমূরতি সমীপে পতিত হইলেও তাহাকে কদাকার দেখায় । একদিন কোনস্তানে কয়েকজন ডোম সুরাপান করিতেছিল, এমন সময়ে একজন বলিয়া উঠিল যে, “এখানে আর কোন ইতর জাতি নাই, সকলেই ডোম, আইস, আমরা পরস্পর বিচার করিয়া দেখি যে, ডোম জাতি সকল জাতি অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ কি