পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৯৫ ] করিতেছেন, যিনি যাহা ভাবিয়া ঈশ্বরোপাসনা করিতে চাহেন, তাহাতেই ঈশ্বর লাভ হয়, তাহাই প্রকৃত ধৰ্ম্ম বলিয়া বিশ্বাস করিতে হইবে । কারণ, রামকৃষ্ণদেবের অভিপ্রায়ে ধৰ্ম্ম বলিয়া, অর্থাৎ ঈশ্বর ভাব সম্বন্ধীয় যে কোন ভাব হউক, তাহার নিন্দ করিবার কাহারও অধিকার নাই । রামকৃষ্ণদেবের এই অনুপম ধৰ্ম্মভাব বাস্তবিক প্রত্যেক ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের হৃদয়ের সামগ্রী । এই ভাবে দ্বেষাদ্বেষী নাই, ধৰ্ম্মের ভাল মন্দ বিচার করিবার অধিকার নাই। প্রভু বলিতেন, যেমন, চাদামামা সকলেরই, ভগবানও তেমনি সকলের। ভগবানকে সাধুভাষায় উপাসনা করিলে তিনি শ্রবণ করেন, এমন কোন কথাই নাই। তাহার কোন বিশেষ নাম ধরিয়া না ডাকিলে তিনি শুনিতে পান না, এমন কোন কথাই নাই । তাহাকে শাস্ত্রবিশেষের মতে উপাসনা না করিলে তাহাকে লাভ করা যায় না, এমন কোন কথাই নাই, যিনি বিধিমতে এবং শাস্ত্রমতে ভগবানকে চাহেন, তিনি সেই রূপেই তাহার অতীঃসিদ্ধির স্থপন্থা প্রাপ্ত হন। বিধি ব্যবস্থায় যাহার অধিকার লুই, শাস্ত্রাদিতে যাহার অধিকার নাই, তাহার কি উপায় হয় না ? সেই নিরুপায় দিক্‌বিদিকদৃষ্টিশূন্ত অনাথের কি অনাথনাথের রাজ্যে স্ববিধ হয় না ? তাহা হইতে পারে না। প্রভু বলিতেন যে, আমার একজন ইষ্টকৰ্ত্তা, তোমার আর একজন স্বষ্টিকৰ্ত্তা নহেন। এক ঈশ্বর সকলের কওঁ, সকলের ভৰ্ত্ত এবং সকলের পরিত্রাতা। র্তাহাকে ডাক না ডাক, সাধন কর না কর, শাস্ত্র পড় না পড়, সময় হইলে, যেমন তিনি সকলের আহারের উপায় করেন, তিনি যেমন রোগের ঔষধি দেন, তেমনি তিনি সকলের পরিত্রাণের উপায় করিয়া থাকেন। আমরা দেখিতে পাই যে, জলে ডুব দিয়া একমুহূৰ্ত্তকাল অবস্থিতি