পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8s & J মোকদমা, কাল দাঙ্গা, পরশু বিষয়চু্যত হওয়া। অশাস্তির হিল্লোলে কাঠুরিয়া ব্যতিব্যস্ত হইয়া উঠিল। সে মনে করিল যে, যখন সে কাষ্ঠ কাটিয়া কিঞ্চিৎ অর্থ আনিয়া শাকান্ন ভোজন করিত, তখন তাহার যে প্রকার নিরুপদ্রবে নিশ্চিন্ত চিত্তে দিন যাপন হইত, বহুল ঐশ্বৰ্য্যের ঈশ্বর হইয়া তাহার একদিনও সেরূপ আনন্দে অতিবাহিত হইল না। কিরূপে কিঞ্চিৎ শাস্তি পাইবে, তাহার সাধ্যমত চেষ্টা করিল ; কিন্তু কিছুতেই পূৰ্ব্বের ন্যায় অবস্থা আর আসিল না। একদিন সে নির্জন স্থানে বসিয়া পূৰ্ব্ব ঘটনাবলী চিত্তপটে দর্শন করিতেছে, এমন সময়ে ব্রাহ্মণ ঠাকুরের সেই দৈববাণীতুল্য “এগিয়ে যাও” কথাটা স্মরণ হইয়া গেল। কাঠুরিয়া মনে মনে বিচার করিল যে, আমাকে তিনি এগিয়ে যাইতে বলিয়াছেন, তাহা না করিয়া একস্থানে স্থির হইয়। অাছি কেন ? যাহা হউক, পুনরায় অগ্রসর হইতে হইবে। এই বলিয়। পরদিন প্রত্যুষে সে একাকী ভ্রমণ করিতে করিতে এক নিবিড় বনে প্রবেশ করিল। সেই বন অতিক্রম করিয়া এক গিরিমূলে উপস্থিত হইয়া, সম্মুখে পৰ্ব্বতে উঠিবার পথ দেখিয়া সে তদুপরি আরোহণ করিতে লাগিল। কাঠুরিয়া আর পূৰ্ব্বের ন্যায় কষ্ট সহ্য করিতে পারিত না। ঐশ্বর্য্যে তাহাকে হীনবল করিয়া ফেলিয়াছিল। পৰ্ব্বতোপরি উঠিবামাত্র সে সেই পূর্বপরিচিত ব্রাহ্মণের সাক্ষাৎ পাইল। ব্রাহ্মণকে দেখিয়া কাঠুরিয়া প্ৰণিপাত করিয়া পদধূলি লইল । ব্রাহ্মণ কাঠুরিয়াকে দেখিয় জিজ্ঞাসা করিলেন,—“তুমি এখানে আসিলে কেন ? এপরামর্শ তোমায় কে দিল ?” কাঠুরিয়া, ব্রাহ্মণের উপদেশমতে যেরূপে অবস্থার পরিবর্তন হইয়াছে, যেরূপে তাহার আর্থিক উন্নতি হইয়াছে, সমুদায়ব্যক্ত করিল। সে আরও বলিল,“প্ৰভু ! আপনার কৃপায় আমার ঐশ্বৰ্য্যের অবধি নাই, কিন্তু যতই সমৃদ্ধিশালী হইয়াছি, আমার ততই অশাস্তি উপস্থিত হইয়াছে। এই অশাস্তির