পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8२७ ] অধিকার হইতে অব্যাহতি পাইবার মানসে কতই অনুষ্ঠান করিয়াছি, কিন্তু কিছুতেই কৃতকাৰ্য্য হইতে পারি নাই। পরে একদিন আপনার উপদেশবাক্য “এগিয়ে যাও” কথাটা স্মরণ হয়। সেই বাক্যের পরামর্শে আমি অদ্য মহাশয়ের শ্ৰীচরণদর্শন পাইলাম। এক্ষণে প্ৰভু! দীনের প্রতি করুণা বিস্তার করিয়া বলিয়া দি’ন, আরও কি এগিয়ে যাইতে হইবে ?” ব্রাহ্মণ কহিলেন, “তোমার অদৃষ্ট প্রসন্ন হইয়াছে, তজ্জন্য ঐশ্বৰ্য্যের মধ্যে নিপতিত হইয়াও আমায় বিস্মৃত হও নাই। সাধারণ লোকে কিঞ্চিৎ ঐশ্বৰ্য্য লাভ করাকেই জীবনের চরম সীমা মনে করে। ব্যবসাবিশেষে কৃতকাৰ্য্য হইলেই তাহাকে ব্যবসার চরম জ্ঞান করে । তুমি তাহ কর নাই, এই নিমিত্ত তুমি আমার নিকটে পুনরায় আসিতে সমর্থ হইয়াছ । তুমি এখন এগিয়ে যাইবার অর্থ বুঝিতে পারিবে। ইহার চরম স্থান কোথায় তাহা সৰ্ব্বপ্রথমে বলিলে, এত দূর অগ্রসর হইতে পারিতে না । সে কথা তখন ধারণ হইত না । প্রত্যেক মনুষ্য-জীবন এক একটা ব্যবসার স্থান । যে এগিয়ে যাইবার স্বত্র অবলম্বন করে, সেই তোমার মত জীবন-ব্যবসায় উন্নতি সাধন করিতে পারে। স্বাধীন বৃত্তি অবলম্বন না করিলে স্বাধীনতার ভাব সঞ্চারিত হয় না, এবং স্বাধীনতা ব্যতীত কেহ কখন জীবনের উৎকর্ষত লাভ করিতে সক্ষম হয় না। স্বাধীন ব্যক্তিরাই যাহা ইচ্ছা তাহ সম্পন্ন করিয়া আপনার কল্যাণ বৃদ্ধি করিতে পারে। স্বাধীন ব্যক্তি যথা ইচ্ছা গমন করিতে পারে, স্বাধীন ব্যক্তির মানসক্ষেত্রে যাহা উদয় হয়, তাহ। কার্য্যে পরিণত করিতে পারে, স্বাধীন ব্যক্তির মস্তিষ্কের অসীম শক্তি এবং সেই অসীম শক্তির অনন্ত প্রকার কাৰ্য্য হইতে পারে। তুমি স্বাধীন বৃত্তি অবলম্বন করিয়াছিলে, সেই ফলে অদ্য তুমি অসীম অর্থের স্বামী হইয়াছ। কিন্তু যাহার তোমার অধীনতা স্বীকার করিয়াছে, তাহাদের অবস্থার সহিত তোমার অবস্থার