পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ৪৬৩ ] ইহাদের অবস্থা সম্বন্ধে সুতরাং স্থির নিশ্চয়তা নাই, এই জন্ত মায়া বা মিধ্যাপদ প্রয়োগকরা হয়। মিথ্যা বস্তু সত্য বলিয়া প্রতীতিজন্মিলে মায়। কহা যায়। বেদাদি শাস্ত্রে স্থূল জগৎকে সেইজন্য মায়া বলিয়া পরিত্যক্ত হইয়াছে। বৈদাস্তিকের তন্নিমিত্ত জগতের পদার্থকে অপদার্থ ; ভাব, প্রেম হাসি কান্না প্রভূতি যাবতীয় দৈহিক এবং মানসিক ক্রিয়াকে মায়ার অন্তর্গত বলিয়া ব্যক্ত করেন । সংক্ষেপে বেদাদি শাস্ত্রে এক অদ্বিতীয় বস্তুর অস্তিত্ব স্বীকার করা হয় এবং তদ্ব্যতীত সমুদ্রয় ভ্রম পরিপূর্ণ। ইহাকেই অদ্বৈতবাদ কহে। রামকৃষ্ণদেব বেদাদিশাস্ত্রের এইরূপ বৈশ্লেষিক ( Analytical ) ভাব দেখাইয়া অদ্বিতীয় সংবস্তুর শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদন পূর্বক পুনরায় সাংশ্লেষিক ( Synthetical ) প্রথানুসারে স্থূল জগতে বিচার ভাবে অবতরণ করিতে উপদেশ দিয়াছেন। যেমন জল কিংবা বরফ অথবা বাষ্প বিশ্লিষ্ট করিলে দুইটী বাষ্প প্রাপ্ত হওয়া যায়। পরে ঐ দুইটী বাম্পের পুনৰ্ম্মিলন করিলে পুনরায় জল স্বষ্টি হয়। ইহাকে সংশ্লেষণ কহা যায়। সৎবন্তু বা মহাকারণ হইতে কারণ, স্বশ্ন এবং স্কুল পর্য্যস্ত আসিলে, অর্থাৎ সমুদয় ব্ৰহ্মাওস্থিত পদার্থ নিচয় একত্রে সংযোগ করিলে সেই সৎ বস্তুরই বিকাশ দেখা বায় । কারণ প্রত্যেক বস্তুর এমন কি অতি স্বক্ষ তৃণের উৎপত্তির ক্রম নির্ণয় করিতে যাইলে অদ্বিতীয় সৎ পদার্থেই উপনীত হইতে হয়। এই নিমিত্ত সাংশ্লেষিক বিচারের দ্বারাও সৰ্ব্বত্রে অদ্বৈত জ্ঞান ক্ষত্তি পাইয়া থাকে। রামকৃষ্ণদেব সৰ্ব্বজন বোধগম্যার্থ অতি সামাঙ্গ দৃষ্টান্তদ্বারা এই গভীর ব্ৰহ্মতত্বের মৰ্ম্ম প্রকাশ করিয়া গিয়ছেন। তিনি বলিতেন, যেমন পাকা বেল। বেল একটী পদার্থবিশেষ। বেল লইয়া বিচার করিলে প্রথমে ইহার বাহিরেন্থ