পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 سيانا 8 ] সাংশ্লেষিক বিচার দ্বার। এইরূপে সৰ্ব্বত্রেই সৎসত্ত্বার বিকাশ উপলব্ধি করাই বিশিষ্টাদ্বৈতবাদের অভিপ্রায় । এই নিমিত্ত বিশ্বস্থিত এবং বিশ্বের অতীত যাহা কিছু আছে, ছিল ও হইবে, সমুদয় সেই পরমাত্মার বিরাট ভাব । তিনি এক অদ্বিতীয় এবং কারণ, সূক্ষ্ম ও স্থলে তিনিই বহু। পদার্থবিজ্ঞান তাহার পোষকতা করিয়া দিতেছে। তিনিই এক অদ্বিতীয় সৎ, সকল পদার্থের উৎপত্তির কারণ ; তিনিই এক অদ্বিতীয় সৎ, সকল পদার্থের স্থিতির কারণ এবং তিনিই এক অদ্বিতীয় সৎ, সকল পদার্থের স্থল গঠনেরও পরিবর্তনের কারণ। তিনিই জগৎ, তিনিই জগদীশ্বর এবং তিনিই জগতাতীত ব্ৰহ্ম । তিনিই স্থূল জগতের অতি স্কুল পদার্থ, তিনিই মহাকারণের মহাকারণস্বরূপ বাক্যমনের অতীত বস্তু । তিনিই এক অদ্বিতীয় নিত্য পদার্থ এবং তিনিই লীলার বহুভাবব্যঞ্জক বিচিত্র পদার্থবিশেষ এবং তিনিই নিত্যলীলার অতীত বিষয়। ঈদৃশ তত্ত্বজ্ঞানকে প্রকৃত ব্ৰহ্মজ্ঞান কহে। ইহাই বেদাদি মতের চরমাবস্থা । রামকৃষ্ণদেব বলিতেন যে, চিকিৎসকেরা রোগোপসমের নিমিত্ত কতক ঔষধ সেবন করান এবং কতক ঔষধ গাত্রে মর্দন করিতে দেন । বৰ্ত্তমান কৃলিযুগে বৈদিক শাস্ত্রাদি শ্রবণ করিয়া জ্ঞানলাভ করিতে হয় এবং তন্ত্রোক্ত সাধনাই প্রকৃত কৰ্ম্ম করিবার বিষয় । তিনি বলিতেন যে, দেশকালপাত্র বিচার দ্বারা যুগে যুগে যুগধৰ্ম্মের ব্যবস্থা হইয়াছে। সত্যযুগে বৈদিক সাধনার বিধি প্রচলিত ছিল । তাৎকালিক ব্যক্তিগণ অতিশয় বলিষ্ঠ এবং দীর্ঘকাল জীবিত থাকিতেন। তাহার। স্বভাবতঃ , সত্ত্বগুণবিশিষ্ট ছিলেন । তাহারা চিরসন্ন্যাস ব্রতে বর্তী হইয়া রিপু, ংযম করিতে পারিতেন । র্তাহার ভোগ বিলাসের লেশমাত্র সংশ্ৰব রাখিতেন না। র্তাহারা নিভৃত গিরিগুহায় অথবা কাননের বৃক্ষচ্ছায়ায়