পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8ના ] পারে না। এই নিমিত্ত গৌরাঙ্গদেব নাম সাধনা দিয়া গিয়াছিলেন। যে সময়ে শ্ৰীগৌরাঙ্গদেব নামসাধনার নিমিত্ত মাগুরমাছের ঝোল, যুবতী স্ত্রীর কোল নির্দেশ করিয়াছিলেন, সে সময়ের নরনারী বর্তমানকালের ন্যায় বিকৃত হন নাই ; তজ্জন্য তাহারা নাম সাধনা যে ভাবেই হউক গ্রহণ করিয়াছিলেন । কিন্তু বৰ্ত্তমানকালে সে ভাবেও কেহ নাম লইতে ইচ্ছা করেন না। আমার এ কথা ভুল বলিয়া অনেকের মনে ধারণা হইতে পারে। যেহেতু, সকলে না হউন, অনেকেই ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করেন, অনেকেই পূজা হোম করেন, অনেকেই কালীঘাটে যান, অনেকেই তীর্থাদি ভ্রমণ করেন, অনেকেই ত্রিসন্ধ্যা করেন এবং অনেকেই সাধনাদির প্রক্রিয়াও করিয়া থাকেন। পাড়ায় পাড়ায় হরিসভা, পাড়ায় পাড়ায় ব্রাহ্মসমাজ এবং স্থানে স্থানে ধৰ্ম্ম প্রচারও হইতেছে। কিন্তু আমি জিজ্ঞাসা করি যে, এই সকল কার্য্যের উদ্দেশ্য কি ? এ কথা বলিতেছি না যে, ইহার ষোল আনাই ভুল ; কিন্তু মোটের উপর বলা হইতেছে যে, যদ্যপি প্রত্যেকের উদ্দেশ্য বাহির করিয়া দেখা যায়, তাহা হইলে সাধনা যাহাকে বলে, এই সকল কার্য্যের দ্বারা কি তাহা হইতেছে ? সাধনা— ডিবেটিং ক্লব নহে, সাধনী—সভাবিশেষের, কাৰ্য্যবিশেষের ন্যায় নহে, সাধনা—পাচ বন্ধু বান্ধবের সমাবেশের কার্য্য নহে, সাধনী—সম্পূর্ণ মনের কার্য্য—নির্জনের কার্য্য—একাগ্র মনের কার্য্য । আমরা জানি ষে, যখন কোন পুস্তকের স্বত্র কিম্বা মৰ্ম্ম স্মরণ রাখিবার প্রয়োজন হয়, তখন প্রথমে সেই বিষয়ের ধ্যান করিতে হয় ; ধ্যান করিলে তবে তাহ মনের ধারণা হইয়া যায়। যখন যে বিষয় এইরূপে ধারণা হয়, তখন তাহা স্মরণ হইয়া থাকে। এইরূপ ধ্যান ধারণ যখন সাধন ব্যতীত হয় না,