পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७१ ] এবং পরবর্তী কারণদ্বয় অনুকুল না হইলে কাৰ্য্যবিশেষ সম্পূর্ণ না হউক, কিন্তু উদ্দীপক কারণ দ্বারা ভাববিশেষ উত্তেজিত হইলে ধ্যানের যথেষ্ট অপকার হইবার সম্ভাবনা। ধ্যানীর উদ্দেশ্য অনন্ত চিন্তা করা, তাহাকে স্থল স্বগ্ন কারণাদির চিন্তা পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক মহাকারণের ভাব মনে ধারণা করিতে হইবে। যদ্যপি এমন অবস্থায় স্কুলের কার্য্য লইয়া মনকে অবস্থিতি করিতে হয়, যদ্যপি স্থলের ভাব দ্বারা মনকে ব্যাপৃত করা যায়, তাহা হইলে সাধকের এরূপ সাধনা বিড়ম্বনাবিশেষ হইয়া পড়ে । যেমন কোন ব্যক্তিকে ত্রিতল অট্টালিকায় আরোহণ করিতে হইবে । সে ব্যক্তি যদ্যপি একটা দুইটী সোপানে উঠিয়া ক্রমাগত নাবিয়া ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিয়া বেড়ায়, তাহা হইলে কখন ত্রিতল গৃহে গমন করা তাহার অদৃষ্টে ঘটিতে পারে না। ধ্যানেরও অবিকল সেইরূপ অবস্থা জানিতে হইবে । কথিত হইয়াছে যে, পূর্ণ মন না হইলে ধ্যানের অধিকারী হওয়া যায় না । সেইজন্য কামিনীকাঞ্চন ভাব হইতে মনকে সম্পূর্ণ ভাবে রক্ষা করা ধ্যানীর সর্ব প্রথম এবং সৰ্ব্বদা তাহাই তাহার বিশেষ কাৰ্য্য হইয়া থাকে। কামিনীকাঞ্চন হইতে রক্ষা পাইতে হইলে সুতরাং যে স্থানে সে ভাব গমন করিতে না পারে, সেই স্থানে তাহাকে বাস করিতে হয় ; অতএব অত্যন্ত জনশূন্য স্থানই র্তাহার পক্ষে বিধেয় । ধ্যানের স্থান যে প্রকার কথিত হইয়াছে, তাহার উদেণ্ড বাহির করিলে পাত্রের এইরূপ অবস্থা হওয়াই কৰ্ত্তব্য। সংসারীদিগের পক্ষে এ সাধনা নহে। কারণ সংসারী যাহারা, তাহারা মন প্রাণ সংসারে সমর্পণ করিয়াছেন। সে ভাব পরিত্যাগ করা তাহদের পক্ষে সাধ্যাতীত এবং যদ্যপি অবস্থাবিশেষে কেহ সাংসারিক ভাব হইতে অব্যাইতি পান, তাহা হইলেও তিনি সৰ্ব্ব সময়ে ধ্যানের যোগ্যতা লাভ