পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ १d ] পারে। এই নিমিত্ত কামিনী বলিলে উভয় শ্রেণীর পক্ষে উভয়কেই বুঝিতে হইবে । কিন্তু হিসাব করিয়া দেখিলে কামিনী অপেক্ষা পুরুষ । কেই মন বিকৃত করিবার গুরু মহাশয় বলিয়া সাব্যস্থ করিতে হয় । কামিনী দেখিলে পুরুষ অস্থির হইয় পড়ে ; সুতরাং যাহাতে কামিনীর সংশ্ৰব না থাকে, সাধক দিগের পক্ষে তাহারই বিধান হইয়াছে । যদিও কামিনীকে ভুজঙ্গিনী প্রভৃতি নানা প্রকার বীভৎসস্থচক শব্দে অভিহিত করা যায়, তাহা কেবল ভয়ের উদ্দীপনা মাত্র । ভগবানের স্বষ্টির আদিতে পুরুষ, পুরুষের আশ্রয়ী ভূত প্রকৃতি, সুতরাং পুরুষের শক্তি অতিক্রম করিয়া কার্য্য কৱ প্রকৃতির শক্তির অতীত বিষয় । আমরা দেখিতে পাই যে, বালিকা মাতৃগর্ভ হইতে বাহির হইবামাত্র পুরুষের মনাপহরণ করিতে পারে না । তাহারা জানে না যে পুরুষ কি পদার্থ, তাহারা জানে ন যে স্ত্রী পুরুষ সম্বন্ধ কি ? তাহ সংসার হইতে ক্রমে শিক্ষা করে। কিন্তু তাহদের বিশেষ শিক্ষার স্তল কোথায় ? স্বামী অর্থাৎ পুরুষ হইতে পাশব ক্রিয়ার স্বত্রপাত হয় ; পুরুষ হইতে পাশব ক্রিয়ার পুষ্টিসাধন হয় এবং পুরুষ হইতে পাশব ক্রিয়ার উত্তেজনা হইয়। থাকে। বালিকার নবমনে পুরুষ ধরিবার বীজ পুরুষকত্ত্বক নিক্ষিপ্ত হয়, সুতরাং সেই বীজের বৃক্ষ শাখা পল্লবাদি যাহা পরে প্রকাশিত হয়, তাহার আদি কারণ পুরুষ । আমরা কামিনীর কথা কহিয়া থাকি, সুতরাং তাহার। তদবস্থায় পূৰ্ব্ব কারণপ্রস্থত ভাববিশেষ দ্বারা কাৰ্য্য করিয়া থাকেন, এই নিমিত্ত সংক্ষেপে কামিনী শব্দেরই দ্বার প্রভু এতগুলি ভাব প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন। অতএব ধ্যানসম্বন্ধে বিচার করিতে হইলে, নর নারীর পক্ষে নর নারীই তাজনীয়, সুতরাং সংসারে থাকা কাহারই স্থান হইতে পারে না । কথা হইতে পারে, যাহারা কামিনীকাঞ্চনের রসাস্বাদন করিয়াছেন,