ভট্টাচাৰ্য্যের সহিত বিচার SAS হোৱা জগতের নানাপ্রকার নিয়ম ও রচনা দেখিয়া নিয়মকৰ্ত্ততে নিষ্ঠ রাখিবার সমর্থ্য রাখেন। তঁহাদের জন্যে হস্তিমস্তকের উপদেশ করা শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য নহে। কুলার্ণবে। করপাদোদরাস্যাদিরহিতং পরমেশ্বরি। সর্বতেজোময়ং ধ্যায়েৎ সচ্চিদানন্দলক্ষণং।। হস্ত পাদ উদর মুখ প্ৰভৃতি অঙ্গরহিত সর্বতেজোময় সচিদানন্দস্বরূপকে হে ভগবাতি ধ্যান করিবেক । ২৭ পৃষ্ঠের ৭ পংক্তিতে ভট্টাচাৰ্য্য লিখেন “যদি বল ফলাভাবপ্রযুক্ত দেবতাদের উপাসনা না করি তবে হে ফলাথি জ্ঞানিমানি মিথ্যা কেন কহ যাহার যাহাতে উপযোগ না থাকে। সে কি তাহাকে মিথ্যা কহে|” উত্তর । প্ৰয়োজন ব্যতিরেকে কেহ কোন বিষয়ে প্ৰবৰ্ত্ত হয় না। আত্মজ্ঞানসাধনেরো প্রয়োজন মুক্তি হয়। এরূপ প্ৰয়োজনকে যদি ফল কহ। তবে সকলেই ফলাকাজ্যিক্ষ হয়। ইহাতে হানি কি আছে স্বৰ্গাদি ফলাকাজ্যিক্ষ হইয়া কৰ্ম্ম করা মোক্ষাকাক্তিক্ষর আকৰ্ত্তব্য বটে। আর যাহার যাহাতে উপযোগ না থাকে। সে তাহাকে কখন মিথ্যা কহে যেমন শশারুর শৃঙ্গ বস্তুত নাই এবং তাঁহাতে উপযোগও নাই। অতএব মি[৩২]থ্যা কহা যায় আর যাহার যাহাতে উপভোগ নাই সে তাহাকে কখন বৃথা কহিয়া থাকে। যেমন নাসিকার রোম যাহাতে আমাদের কোনো প্ৰয়োজন নাই তাহাকে সুতরাং বৃথা৷ কহা যায়। এ স্থলেও সেইরূপ ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসা হইলে সোপাধি উপাসনা বৃথা জ্ঞান হয় ৷ বেদান্তচন্দ্ৰিকার ২৭ পৃষ্ঠের ১০ পংক্তিতে ভট্টাচাৰ্য্য প্রশ্ন করেন যে “ঘূতাভোজীর কাছে ঘূত কি মিথ্যা” উত্তর ঘুতকে যে ভোজন না করে এবং মর্দন ও ক্রয় বিক্রয়াদি না করে সে ব্যক্তির নিকট ঘূত মিথ্যা নহে। কিন্তু তাহার কোন প্ৰয়োজন ঘূতিতে নাই এনিমিত্ত সে ঘুতকে আপনি বিষয়ে বৃথা জানিয়া থাকে । ঐ পৃষ্ঠের ১১ পংক্তিতে ভট্টাচাৰ্য্য প্রশ্ন করেন “তুমি বা একাক্ষ না হও কেন কাকের কি এক চক্ষুতে নির্বাহ হয় না।” এ প্রশ্নের তাৎপৰ্য্য বুঝিতে পারিতেছি না। যাহা হউক ইহার উত্তরে ভট্টাচাৰ্য্যকে জিজ্ঞাসা করি যে আপনি রাজসংক্রান্ত কৰ্ম্মত্যাগ কেন না করেন র্যাহাদের রাজসংক্রান্ত কৰ্ম্ম নাই তাহাদের কি দিনপাত হয় না। এ প্রশ্নের উত্ত্বরে ভট্টাচাৰ্য্য যাহা কহিবেন তাহা আমাদের উত্তর হইবেক অর্থাৎ [ ৩৫ ] যদি ভট্টাচাৰ্য্য ইহার উত্তরে কাহেন যে রাজসংক্রান্ত কৰ্ম্মে আমাদের উপকার আছে আমি কেন ত্যাগ করিব তবে আমরাও কহিব যে দুই চক্ষে অধিক উপকার আছে। অতএব সৰ্ব্বথা রক্ষণীয়। ,
