之@9 রামমোহন-গ্ৰন্থাবলী ঐ অবস্থার অধিষ্ঠাতাকে অন্ত:প্ৰজ্ঞ কহা গেল স্বপ্নের অধিষ্ঠাতা আপন প্ৰভাৱ বিশ্বকে স্বপ্নাবস্থায় রচনা করেন আর স্বপ্নাবস্থায় ইন্দ্ৰিয়সকল যে মনেতে মিলিত হইয়াছে সেই মনের দ্বারা বিশ্বের অনুভবও করেন এই নিমিত্ত ঐ স্বপ্নের অধিষ্ঠাতাকে জাগ্ৰন্দবস্থার অধিষ্ঠাতার ন্যায় সপ্তাঙ্গ এবং একোনবিংশতিমুখ এ দুই শব্দ কহা যায়। স্বপ্নাবস্থায় পূৰ্ব্বপূর্বসংস্কারাধীন বিষয়সকলকে মন অনুভব করেন এই নিমিত্ত স্বপ্নের অধিষ্ঠাতাকে প্ৰবিবিক্তিভুক শব্দে কহিলেন অর্থাৎ জাগ্ৰন্দবস্থার ন্যায়। স্কুল বিষয়কে ভোগ না করিয়া সূক্ষ্মীরূপে ভোগ করেন। জাগ্ৰন্দবস্থায় যে স্কুল বিষয়ের উপলব্ধি হয়। সেই বিষয় রহিত যে বুদ্ধি তাহার দ্বারা স্বপ্নের অধিষ্ঠাতার অনুভব হয় এই নিমিত্ত স্বপ্নের অধিষ্ঠাতাকে তৈজস নামে কহ যায়। ৪ । এখন ঐ চৈতন্যস্বরূপ পরমাত্মার তৃতীয় প্রকারের বিবরণ করিতেছেন । যাত্র সুপ্তে ন কাঞ্চন কামং কাময়তে ন কাঞ্চন স্বপ্নং পশ্যতি তৎ সুষুপ্তং । সুষুপ্তস্থান একীভূতঃ প্ৰজ্ঞানঘন এবানন্দময়ো হানন্দভুক চেতোমুখঃ প্ৰাজ্ঞস্তৃতীয়; পাদঃ ৷ ৫ ৷ যে সময়ে স্বপ্ন না দেখা যায়৷ ” এবং কোনো কামনা না থাকে। সেই সময়কে সুষুপ্তি অবস্থা কহি সেই অবস্থার (অধিষ্ঠাতা যে চৈতন্যস্বরূপ আত্মা তাহাকে সুষুপ্তিস্থান এই শব্দে কহিয়াছেন। জাগরণ এবং স্বপ্নাবস্থাতে প্ৰপঞ্চময় বিশ্বের পৃথক পৃথক বোধ থাকে কুহাসাতে যেমন নানা আকারবিশিষ্ট বস্তু সকল একাকারে প্রতীত হয় সেইরূপে ওই বিশ্ব সুষুপ্তি অবস্থাতে একীভূত হইয়া থাকে। অতএব সুষুপ্তির অধিষ্ঠাতাকে একীভূত শব্দে কহি । নানা প্ৰকার বস্তুর নানা প্ৰকার যে জ্ঞান তাহা মিশ্রিতের ন্যায় হইয়া সুষুপ্তিকালে থাকে এ নিমিত্ত সুষুপ্তির অধিষ্ঠাতাকে প্রজ্ঞানঘন শব্দে কহ। যায় অর্থাৎ সে অবস্থায় জাতি গুণ ক্রিয়া ইত্যাদির পৃথক ২ জ্ঞান থাকে না। বিষয় অনুভবের দ্বারা যে ক্লেশ তাহা সুষুপ্তি অবস্থায় থাকে না। এ নিমিত্ত সুষুপ্তির অধিষ্ঠাতাকে আনন্দময় অর্থাৎ আনন্দপ্রচুর কহি। আয়াসশ্বন্ত হইয়া থাকিলে যেমন ব্যক্তিসকল সুখী কহায় সেইরূপ আয়াসশ্বন্য যে সুষুপ্তির অধিষ্ঠাতা তঁহাকে আনন্দভুক অর্থাৎ সুখের ভোক্ত কহি যায়। স্বপ্ন এবং জাগরণ এই দুই অবস্থার চৈতন্যের দ্বার সুষুপ্তির অধিষ্ঠাতা হয়েন এ নিমিত্ত র্তাহাকে চেতোমুখ অর্থাৎ চেতনের দ্বার কহি জাগরণাপেক্ষা ও স্বপ্নাপেক্ষা সুষুপ্তি অবস্থার অধিষ্ঠাতার নিরুপাধি জ্ঞান হয় এ নিমিত্ত র্তাহাকে 2叶函冲z不 কতেন। ৫ । এখন ঐ তিন অবস্থাশূন্য যে তুরীয় পরমাত্মা তঁহাকে তৃতীয় অবস্থার অধিষ্ঠাতার সহিত অভেদরূপে কহিতেছেন। এষ সৰ্বেশ্বর এষ সৰ্ব্বজ্ঞ
