পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नभांप्रदीक्ष 6दाङ 2छ উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে বাংলা দেশে বেদান্তের চর্চা মন্দীভূত হইয়াছিল সত্য, কিন্তু একেবারে লোপ পায় নাই। এ কথার প্রমাণ—১৮১৭ খ্ৰীষ্টাব্দে প্ৰকাশিত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের ‘বেদান্তচন্দ্ৰিকা’ । ১৮২৪ সনের জানুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠিত কলিকাতা গবর্মেন্ট সংস্কৃত কলেজেও প্রথমাবধি প্ৰায় ২০ বৎসর BDD BD BDD DBBDBBBBDB BDY SBB DDSs DDD S এ দেশে বেদান্তচর্চার পুনঃপ্রসারকল্পে রামমোহন রায়ের প্রচেষ্টা বিশেষভাবে স্মরণীয় ; তিনিই সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় বেদান্তের ব্যাখ্যা প্রচার করিয়াছিলেন ; ১৮১৫ সনে তঁহার ‘বেদান্ত গ্ৰন্থ’ বঙ্গাক্ষরে প্রকাশিত হয়। “ইহার অন্য নাম ব্ৰহ্মসূত্র, শারীরিক মীমাংসা বা শারীরিক সূত্র। যাগ যজ্ঞাদি কৰ্ম্মসমাপ্লুত এই ভারতবর্ষে যাদবধি ব্ৰহ্মজ্ঞানের উদয় হইয়াছে, তদবধি আৰ্য্যদিগের মধ্যে ঐ কৰ্ম্ম ও জ্ঞান সম্বন্ধে একটি বাদানুবাদ চলিয়া আসিতেছে। ঋষিগণ ঐ দুই বিষয়ের বিস্তর বিচার করিয়া গিয়াছেন। কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস ব্ৰহ্মজ্ঞানপক্ষীয় ছিলেন । তিনি যে সকল বিচার করিয়াছিলেন, প্ৰচলিত ব্যাকরণের সূত্রের ন্যায় তিনি ঐ সকল বিচারোদ্বোধক কতকগুলি সূত্র রচনা করিয়া যান। বহু কালের পর শ্ৰীমৎ শঙ্করাচাৰ্য্য সেই সকল সূত্রের অন্তর্নিহিত তাৎপৰ্য্য ব্যাখ্যাপূর্বক ব্ৰহ্মতত্ত্ব ও ব্রহ্মোপাসনার উপদেশ পণ্ডিতমণ্ডলীমধ্যে প্রচার করেন। ঐ সকল সূত্রে এবং শঙ্করাচাৰ্য্যকৃত তাহার ব্যাখ্যানে বা ভাষ্যে বেদব্যাসের সমস্ত ব্ৰহ্মবিচার প্রাপ্ত হওয়া যায়। মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় উক্ত বেদান্তসূত্র গ্রন্থের ঐরাপ গৌরব ও মাহাত্ম্য প্ৰতীতি করিয়া প্ৰথমে ঐ গ্ৰন্থখানি বাঙ্গালা অনুবাদ সমেত প্ৰকাশ করেন। উহাতে ব্যাসমতে সমগ্ৰ বেদ ও সকল শাস্ত্রের মৰ্ম্ম ও মীমাংসা থাকাতে এবং সর্বলোকমান্য শঙ্করাচাৰ্য্যকৃত ভাষ্যে সেই সকল মৰ্ম্ম সুস্পষ্টরূপে বিবৃত থাকাতে রামমোহন রায়ের ব্ৰহ্মবিচার পক্ষে উহা ব্ৰহ্মাস্ত্রস্বরূপ হইয়াছিল। র্তাহার পূর্বাপর এই লক্ষ্য ছিল যে তিনি সকল জাতির সম্মানিত শাস্ত্ৰ দ্বারাই প্ৰতিপন্ন করিবেন যে একমাত্র নিরাকার ব্ৰহ্মোপাসনা সর্বশ্ৰেষ্ঠ।” ( রাজনারায়ণ বসু ও আনন্দচন্দ্ৰ বেদান্ত বাগীশ কর্তৃক পুনঃপ্রকাশিত ‘রামমােহন-গ্ৰন্থাবলি, পৃ. ৮০২)