পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পাদকীয় $ ዓ3 মুদ্রিত হইয়াছে, তাহ “তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’য় (পৌষ-চৈত্র ১৭৬৫ ও বৈশাখ ১৭৬৬ শকে) প্রকাশিত রামমোহন-কৃত গ্রন্থের “চুর্ণক” মাত্র। আমরা মূল গ্ৰন্থখানি পুনমুদ্রিত করিলাম। রামমোহন এই বিচারগ্রন্থে সাকার উপাসনার অনীেচিত্য প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন। পঞ্চোপনিষৎ বেদান্ত গ্ৰন্থ ও বেদান্তসার প্রকাশের পর রামমোহন মূল বেদান্ত অর্থাৎ উপনিষদগুলি প্রচারে যত্নবান হন। প্রকৃতপক্ষে আধুনিক কালে—ইংরেজ আমলে ব্যাখ্যা ও অনুবাদ সহ বঙ্গভাষায় উপনিষদ প্রচার তঁহার দ্বারাই প্ৰথম অনুষ্ঠিত হয়। ইং ১৮১৬ হইতে ১৮১৯-এই তিন বৎসরের মধ্যে তিনি পাঁচখানি উপনিষৎ, ভাষা ব্যাখ্যা সহ, প্ৰকাশ করিয়াছিলেন ; এগুলি— ১ । তলবীকার উপনিষৎ ( বা কেনোপনিষৎ ), সামবেদের অন্তৰ্গত। | ט\ל "לצ (IC& ২। ঈশোপনিষৎ ( বা বাজসনেয়সংহিতোপনিষৎ ), যজুৰ্বেদীয়। जूलाई S४९७ । ৩। কঠোপনিষৎ, যজুৰ্বেদীয়। আগষ্ট ১৮১৭ ৷৷ S মুণ্ডাক্যোপনিষৎ অক্টোবর ১৮১৭ ৷৷ ৫ । মুণ্ডকোপনিষৎ, অথর্ববেদের অন্তর্গত। ফেব্রুয়ারি (?) ১৮১৯ ৷৷ অন্যান্য উপনিষদগুলির শেষে যেমন মুদ্রাঙ্কন-কালের উল্লেখ আছে, মুণ্ডকোপনিষদে তাহার ব্যতিক্রম ঘটিয়াছে। বসু-বেদান্তবাগীশ ‘রামমোহনগ্রন্থাবলি’র ৮০৪ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন, “ইহা যে মাণ্ডকোপনিষদের পূর্বে [ অর্থাৎ ১৮১৭, অক্টোবরের পূর্বে ] প্ৰকাশিত হইয়াছিল, তাহার ভূমিকাতে এমন উল্লেখ আছে।” আমরা কিন্তু এরূপ কোন উল্লেখ খুজিয়া পাই নাই। প্রকৃতপক্ষে মুণ্ডকোপনিষৎ যে ১৮১৯ খ্ৰীষ্টাব্দের প্রারম্ভে প্ৰকাশিত, ২৭ মার্চ ১৮১৯ তারিখের ‘সমাচার দর্পণ” পত্রে প্রকাশিত নিম্নোদ্ভূত বিজ্ঞপ্তি হইতে তাহ অনায়াসে প্ৰতীয়মান হইবে ঃ “মুতন পুস্তক —শ্ৰীযুত রামমোহন রায় অথৰ্ব্ব বেদের মণ্ডুকোপনিষদ ও শঙ্করাচাৰ্য্য কৃত। তাহার টীিকা বাঙ্গালা ভাষাতে তর্জমা করিয়া ছাপাইয়াছেন।” (“সংবাদপত্রে সেকালের কথা,” ১ম খণ্ড, পৃ. ৬৭ )