পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত গ্ৰন্থ ክም¢ এইরূপ ব্যতীহারে অর্থাৎ বিপৰ্য্যয় করিয়া কহিবার প্রয়োজন নাই যেহেতু জীবকে [ ১২০ ] পরমাত্মার সহিত অভেদ জানিলে পরমাত্মাকেও সুতরাং জীবের সহিত অভেদ জানিতে হয়। অতএব ঐ ব্যতীহার বাক্যের তাৎপৰ্য্য কেবল ঈশ্বর আর জীবের অভেদ চিন্তন হয়। এমত নহে ॥ ব্যতীহারো বিশিংষন্তি হীতরবৎ ৷৷ ৩৮ ৷৷ এই স্থানে ঈশ্বরের অপর বিশেষণের ন্যায় ব্যতীহারিকেও অঙ্গীকার করিতে হইবেক যেহেতু জাবালের এইরূপ ব্যতীহারিকে বিশেষরূপে কহিয়াছেন যে হে ঈশ্বর তুমি আমি আমি তুমি। যে আমি সেই ঈশ্বর এ বাক্যের ফল। এই যে আমি সংসার হইতে নিবৰ্ত্ত আর যে ঈশ্বর সেই আমি ইহার প্রয়োজন এই যে ঈশ্বর আমার পরোক্ষ না হয়েনি। অতএব ব্যতীহার অপ্ৰয়োজন নহে ॥ ৩৮ ৷৷ বৃহদারণ্যে পূর্বোক্ত সত্যবিদ্যা হইতে পরোক্ত সত্যবিদ্যা ভিন্ন হয়। এমত ८छ् ॥ সৈব হি সত্যাদয়ঃ ৷৷ ৩৯ ৷ . যে পূর্বোক্ত সত্যবিদ্যা সেই পরোক্ত সত্যবিদ্যাদি হয় যেহেতু দুই বিদ্যাতে সত্যস্বরূপ পরমাত্মার অভেদ দৃষ্ট হইতেছে ৷৷ ৩৯ ৷ ছান্দোগ্যে ব্ৰহ্মকে উপাশ্য করিয়া আর বৃহদারণ্যে র্তাহাকে জ্ঞেয় করিয়া কহিয়াছেন। অতএব উভয় উপনিষদেতে উক্ত বিশেষণ সকল পরস্পর সংগ্ৰহ হইবেক নাই। এমত ८छ् ॥ কামাদীতারত্ৰ তত্ৰ চায়তনাদিভ্যঃ ॥ ৪০ ৷৷ ছান্দোগ্যে ব্ৰহ্মকে সত্যকাম্যাদিরূপে যাহা কহিয়াছেন [ ১২১ ] তাহার বৃহদারণ্যে সংগ্ৰহ করিতে হইবেক আর বৃহদারণ্যে যে ব্ৰহ্মকে সকলবশকৰ্ত্তা আর সকলের ঈশ্বর কহিয়াছেন তাহা ছান্দোগ্যে সংগ্ৰহ করিতে হয় যেহেতু ঐ দুই উপনিষদে ব্ৰহ্মের স্থান হৃদয়ে হয়। আর ব্ৰহ্ম উপাস্য হয়েন একই ব্ৰহ্ম সেতু হয়েনি এমত কথন আছে যদি কহ ছান্দোগ্যে কহিয়াছেন যে হৃদয়াকাশে ব্ৰহ্ম উপাস্য হয়েন আর বৃহদারণ্যে কহিয়াছেন ব্ৰহ্ম আকাশে জ্ঞেয় হয়েন। অতএব সগুণ করিয়া এক শ্রুতিতে কহিয়াছেন দ্বিতীয় শ্রুতিতে নিগুৰ্ণরূপে বর্ণন করেন এই ভেদের নিমিত্ত পরস্পর বিশেষণের সংগ্ৰহ হইবেক না তাহার উত্তর এই ভেদকথন কেবল ব্ৰহ্মের স্তুতিনিমিত্ত বস্তুত ভেদ নাই৷ ৪০ ৷ জীবন্মুক্ত ব্যক্তির উপাসনার প্রয়োজন নাই। অতএব উপাসনার লোপাপত্তি হউক। এমত নহে ৷